এ নিয়ে এবার হজ মৌসুমে বিমানের মোট ১৯টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় সঙ্কট ঘনীভূত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বুধবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, যাত্রী না পাওয়ার কারণে বুধবারের দুটি হজ ফ্লাইট তারা বাতিল করেছেন।
এর মধ্যে বিজি-৫০৪৫ ভোর সাড়ে ৫টায় এবং বিজি-৩০৫৩ বিকাল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই দুই ফ্লাইটে সৌদি আরবে পৌঁছানো কথা ছিল প্রায় আটশ যাত্রীর।
সৌদি সরকারের কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা।
কিন্তু ভিসা জটিলতা, সৌদি আরবে মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি এবং টানা দ্বিতীয়বারের হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ভিসা ফি বৃদ্ধির ফলে এবারের হজযাত্রায় জটিলতা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
যাত্রী না পাওয়ায় বুধবার পর্যন্ত মোট ১৯টি হজ ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান, যেসব ফ্লাইটে সাড়ে সাত হাজার যাত্রী জেদ্দা যেতে পারতেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হজ ফ্লাইটের সূচিতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কা তৈরি হওয়ায় বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন অগাস্টের শুরুতে সতর্ক করে বলেছিলেন, সমস্যাগুলো দ্রুত মেটাতে না পারলে বড় ধরনের ঝামেলা তৈরি হবে।
এরপর ৩ অগাস্ট ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান এই জটিলতার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে দায়ী করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
তবে পরিস্থিতি যত জটিলই হোক, শেষ পর্যন্ত সবাইকে হজে পাঠানোর বিষয়ে আশ্বস্ত করে মতিউর রহমান সেদিন বলেছিলেন, হজ যাত্রীদের ভিসা জটিলতা প্রতিবারই হয়, তার সমাধানও করা হয়।