‘হেমানজিওমা’য় আক্রান্ত ১২ বছরের এই শিশুটির হাতে শনিবার অস্ত্রোপচার করা হবে বলে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন।
রোগ শনাক্ত করতে শনিবার মুক্তামনির হাতের টিস্যু সংগ্রহ করে বায়োপসির জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।
সামন্ত লাল মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিবেদন পেয়েছি, টিউমার ধরা পড়েছে। এই রোগটার নাম ‘হেমানজিওমা’।
“শনিবার সকাল ৮টায় মুক্তামনির হাতে অস্ত্রোপচার করার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিযেছে।”
গত ১১ জুলাই থেকে ভর্তি ঢাকা মেডিকেলে মুক্তার চিকিৎসার জন্য ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, হেমানজিওমা হলো শিশুদের রক্তনালীর মধ্যে টিউমার যেগুলোতে ক্যান্সার থাকে না। এই টিউমার শিশুদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। ত্বকের উপরিভাগে লাল গুটির মতো দেখতে এই টিউমার একটা সময়ের পর বিনা চিকিৎসায় মিশে যায়।
ত্বক ছাড়াও যকৃত ও ফুসফুসের মতো আভ্যন্তরীণ অঙ্গেও হেমানজিওমা হতে পারে। এগুলোও সাধারণত সমস্যা করে না।
গত ১১ জুলাই থেকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন মুক্তার রোগটি ‘হাইপারকেরাটসিস’ বা স্কিন ক্যান্সার হতে পারে বলে ধারণার কথা আগের জানিয়েছিলেন ডা. সামন্ত লাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. নাসিরউদ্দিন।
মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন জানান, দেড় বছর বয়সে মুক্তার ডান হাতে একটি ছোট গোটা দেখা দেয়। পরে তা বাড়তে বাড়তে বছর চারেক আগে এমন পর্যায়ে যায় যে স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়। সে সব সময় যন্ত্রণায় অস্থির থাকে। আক্রান্ত হাতটি ফুলে দেহের চেয়ে ভারি হয়ে উঠে, সঙ্গে তার শরীর শুকিয়ে যেতে থাকে।