বায়োপসির জন্য মুক্তামনির হাতে অস্ত্রোপচার

রোগ শনাক্তকরণে মাংস কেটে টিস্যু নিয়ে বায়োপসি করার জন্য বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনির হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2017, 07:45 AM
Updated : 8 August 2017, 07:08 AM

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা যাবৎ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অপারেশন থিয়েটারে চলে এই অস্ত্রোপচার। এরপর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। 

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ড. সামন্ত লাল সেনের উপস্থিতিতে প্লাস্টিক সার্জন ও অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। 

ডা. সামন্ত লাল সেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমকে বলেন, “সমস্ত ঝুঁকি, শারীরিক অবস্থা মাথায় রেখেই মুক্তামনির চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এখন সে ভালো আছে, তবে আমরা কোনোভাবেই বলব না মুক্তামনি শঙ্কামুক্ত। সে একেবারেই ঝুঁকিমুক্ত নয়।”

মুক্তামনির হাত থেকে নেওয়া টিস্যু বায়োপসির জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডা. সামন্ত লাল।

 

“৭২ ঘণ্টা পর আমরা বায়োপসি রিপোর্ট পাব। এরপর মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে মুক্তামনির চিকিৎসায় করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইসিইউতে রাখার মত শোচনীয় অবস্থা তার নয়, নিরাপত্তা ও বিশেষ যত্নের জন্য সেখানে রেখেছি। বিকালে কেবিনে দিয়ে দেব।”

গত ১১ জুলাই থেকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন মুক্তার রোগটি ‘হাইপারকেরাটসিস’ কিংবা স্কিন ক্যান্সার হতে পারে বলে এর আগে ধারণার কথা জানিয়েছিলেন ডা. সামন্ত লাল এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. নাসিরউদ্দিন।

তবে রোগটির ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বায়োপসি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন জানিয়েছিলেন, দেড় বছর বয়সে মুক্তার ডান হাতে একটি ছোট গোটা দেখা দেয়। পরে তা বাড়তে থাকে। বছর চারেক আগে এমন পর্যায় যায় যে তার স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়।

তিনি বলেছিলেন, “আক্রান্ত হাতটি তার দেহের চেয়ে ভারি হয়ে উঠেছে। আর শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে। সে সব সময় যন্ত্রণায় অস্থির থাকে। ডাক্তার বলছেন, রোগটি তার দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে।”