এই বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের টানাপড়েনের মধ্যে গত রোববার আপিল বিভাগে শুনানিতে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
আইন মন্ত্রণালয় নিয়োগের যে খসড়া তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়েছিল, তা গ্রহণ না করে প্রধান বিচারপতি মতপার্থক্য নিরসনে ওই বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ওই বৈঠকে যাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে পরদিন সন্ধ্যায় আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, “বৃহস্পতিবার বসব। আমাদের সদিচ্ছা আছে।”
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বৈঠক হলেও সেটা হবে প্রধান বিচারপতি এবং আইনমন্ত্রীর মধ্যে।”
বৈঠক হচ্ছে কি না- জানতে বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রীকে টেলিফোন করলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি খুবই অসুস্থ। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানিয়ে দিয়েছি, আজ আসতে পারছি না।”
ওই চাকরিবিধির গেজেট জারি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েনের পর আনিসুল হক গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে চূড়ান্ত খসড়াটি হস্তান্তর করেছিলেন।
ওই বিধিমালার খসড়া প্রত্যাখ্যান করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
তিনি বলেছিলেন, “আইনমন্ত্রী আমার সঙ্গে সাক্ষাতের পর পুরোপুরি ইউটার্ন করেছেন।”