বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে রাজধানীতে ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টিপাতের এই পরিমাণ বুধবারের প্রায় দ্বিগুণ।
এই প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়; গাড়ি না পাওয়া, আবার পেলেও যানজটের ধকল পোহাতে হয় মানুষকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবারও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্ষার শেষ দিকে এ ধরনের ভারি বর্ষণ স্বাভাবিক। আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে।
তিনি বলেন, “রাজধানীতে আজকের (বৃহস্পতিবার সারাদিনের) বৃষ্টির চেয়ে চলতি মৌসুমে জুন মাসে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড রয়েছে। তবে তিন ঘণ্টায় এত বৃষ্টি সবশেষ ২০০৬ সালে হয়েছিল।”
বজলুর রশীদ জানান, ১০ বছর আগে ঢাকায় ৩ ঘণ্টায় ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড রয়েছে।
বর্ষার শুরুতে গত ১২-১৩ জুন ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় ঢাকায়। ১৩ জুলাই বৃষ্টি রেকর্ড হয় ১০৩ মিলিমিটার।
গত ২৬ জুলাই রাতে মাত্র ৬৭ মিলিমিটারের বৃষ্টিতে নগরবাসীকে জলজট ও যানজটের তীব্রতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
বৃহস্পতিবারও এই দুর্ভোগ দেখা দেয় শান্তিনগর, মতিঝিল, মিরপুর, সোবহানবাগ এলাকায়। দুর্ভোগে পড়া মানুষকে পানি পার করে দিতে নৌকা নিয়ে নামতে দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসকে।
অগাস্ট মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলছেন, চলতি মাসের প্রথমার্ধে বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহে বড় বন্যার আশঙ্কা করে তা মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকারও।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলছেন, মৌসুমী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি উজানে ভারি বর্ষণে বন্যার শঙ্কা থাকে বেশি। এবার অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারি বৃষ্টি হলে বন্যা দেখা দিতে পারে।