ফেইসবুকে শিক্ষকদের সমালোচনায় জাবির ৭০ শিক্ষার্থীকে নোটিশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফেইসবুকে নিজেদের গ্রুপে শিক্ষকদের পড়ানোর সমালোচনা করায় তাদের ৭০ জনকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2017, 06:01 PM
Updated : 2 August 2017, 06:25 PM

এ ঘটনা তদন্তে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সোহায়েলকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে চিঠি পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ওই তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “সম্প্রতি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভাগীয় বিভিন্ন বিষয়ে ফেইসবুকে অশালীন, অসম্মানজনক ও আপত্তিকর ট্রলিং ও মন্তব্য করায় বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে।

“উক্ত পেইজে আপনার সংশ্লিষ্টতা থাকায় অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আগামী ৩ অগাস্ট সকাল ১০টায় তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আদেশ করা হল।”

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক শরিফ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওরা (শিক্ষার্থীরা) একটি ক্লোজড গ্রুপ করে বিভাগের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করে কিছু লেখা লিখেছিল।

“এটা একান্তই বিভাগের অভ্যন্তরীণ ও ব্যক্তিগত বিষয়। ওরা ছোট মানুষ, ভুল করতেই পারে। কিন্তু বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম যেন অক্ষুণ্ন থাকে এ জন্যই তাদের ডাকা হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবেই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হবে।”

কারণ দর্শানোর চিঠি পাওয়া একাধিক শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ফেইসবুক পেইজটিতে বিভাগের শিক্ষকদের পাঠদান নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক মন্তব্য করা হয়েছিল।

“শিক্ষকরা সঠিকভাবে পড়াতে পারেন না এবং গুগল থেকে স্লাইড ডাউনলোড করে এনে তারা শ্রেণিকক্ষে পড়ান,” বলেন তাদের একজন।

ওই পেইজ যে শিক্ষার্থীরা চালাতেন, বিভিন্ন সময় যারা এতে লিখেছেন এবং লাইক বা কমেন্ট করেছেন তাদের সবাইকে তদন্ত কমিটিতে ডাকা হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

বিভাগের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এনে ফেইসবুক পেইজটির এ্যডমিনদের শনাক্তের পর বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, “এটা আমাদের বিভাগের ব্যাপার। তদন্ত কমিটি বিভাগ গঠন করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় করেনি।

“এটা একটা ফ্যামিলি ম্যাটারের মতো। বিষয়টাকে আমরা পরিবারের মধ্যেই রাখতে চাচ্ছি। আমরা চাইব, বিষয়টা পারিবারিকভাবেই মিনিমাইজ করতে।”