বিতর্কিত এই আইনে মামলা নিয়ে হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বাহিনী প্রধানের এই নির্দেশনা সব খানে পাঠানো হয়।
৫৭ ধারায় সর্বশেষ আলোচিত খুলনার সাংবাদিক লতিফ মোড়লের বিরুদ্ধে মামলাটিতে আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে বলে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরপরই এই নির্দেশনা এল।
বিভিন্ন থানায় ৫৭ ধারায় দায়ের হওয়া মামলার ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না বলে অভিযোগের কথা উল্লেখ করেই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশ প্রধান।
আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি নিরীহ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে চারটি ধাপ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে থানাগুলোকে।
>> এই আইনের ৫৭ ধারায় সংঘটিত অপরাধ সংক্রান্ত মামলা রুজুর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
>> অভিযোগ সম্পর্কে কোনো রূপ সন্দেহের উদ্রেক হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি নিয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে হবে
>> মামলা রুজুর আগে পুলিশ সদরদপ্তরের আইন শাখার সঙ্গে আইনগত পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে
>> কোনো নিরীহ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫৭ ধারায় যা আছে
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা।
এই আইনটিকে কালাকানুন আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা।
নতুন আইনের মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রতিস্থাপনের কথা আইনমন্ত্রী বললেও সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কেউ কেউ ৫৭ ধারার সাফাই গেয়ে চলছেন।