ঢাকার ১ নম্বর অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম ওইদিন রেখে সোমবার এ আদেশ দেন বলে আসামিদের অন্যতম আইনজীবী জীবনানন্দ চন্দ জয়ন্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকের দায়ের করা এ মামলার বিচারের জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম গত বৃহস্পতিবার এ আদালতে বদলি করেন।
এর আগে গত ১৬ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে মামলাটিতে জামিন নেন ইমরান ও সনাতন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী গত ৩১ মে এই মামলা দায়ের করেন।
আর্জিতে তিনি বলেন, গত ২৮ মে রাজধানীতে মশাল মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘যে কটূক্তি’ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তিনি ক্ষুব্ধ, অপমানিত।
এ ছাড়া সনাতন উল্লাহ মিছিলে স্লোগান দেন। মিছিলে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে স্লোগান দেন তারা।
গণজাগরণ মঞ্চের ওই মিছিল থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠার পর ইমরানকে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রব্বানী।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার উদ্যোগে একটি মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে ইমরান এইচ সরকারকে শাহবাগে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করা হয়।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান ছাত্রলীগেরই রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের জামাতা।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণের আন্দোলনের সূচনায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে এর আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন ইমরান। শুরুতে ছাত্রলীগ এই মঞ্চের সঙ্গে থাকলেও পরে সরে যায়। এখন বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ও কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন মঞ্চে সক্রিয়।
গণজাগরণবিরোধী হেফাজতের ‘দাবি মেনে’ পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন লেখা বাদ দেওয়ার পর সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনের প্রতিক্রিয়া আসে মঞ্চের কর্মীদের কাছ থেকে।
ওই সময় এক প্রতিক্রিয়ায় ইমরান বলেছিলেন, মৌলবাদীদের ‘তুষ্ট করতে নোংরা রাজনৈতিক খেলায়’ নেমেছে সরকার, ‘আখের গোছাতে ব্যবহার করছে’ ধর্মকে।