শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
হাতাহাতির জন্য শিক্ষার্থীদের দায়ী করেছেন শিক্ষকরা। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা দোষ দিয়েছেন শিক্ষকদের।
উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের লক্ষ্যে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের অধিবেশন ডাকা হয়েছিল।
রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন না করে এই সভা ডাকায় ঘোষণা দিয়ে তা বর্জন করে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক সাদা দলের শিক্ষকরা। আওয়ামী লীগ সমর্থক নীল দলের শিক্ষকদের একাংশও এই নির্বাচনে আপত্তি জানায়।
এর মধ্যেই ডাকসু নির্বাচন দিয়ে সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্ধারণ করে উপাচার্য নির্বাচনের দাবি তোলে বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক মাসুদ আল মাহাদী বলেন, “উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হচ্ছে সিনেট প্রতিনিধিদের দ্বারা, কিন্তু সেখানে ছাত্রদের পাঁচ প্রতিনিধি নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের ২৫ জন প্রতিনিধিও নেই। তাই তাদের বাদ দিয়ে এই নির্বাচন অবৈধ।”
আহত ছাত্ররা হলেন- ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক রেজা, সালমান ফার্সি, আবু রায়হান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের প্রগতি বর্মন তমা এবং সাদিকুল ইসলাম ও নাসির আব্দুল্লাহ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিকুল ও নাসির কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়।
শিক্ষকদের ‘হামলায়’ ছয়জন আহত হন বলে দাবি করেছেন ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির।
ঘটনার জন্য শিক্ষার্থীদের দায়ী করে তিনি বলেন, “ছাত্ররা যে শিক্ষকদের লাথি-ঘুষি মারছে, সেটি আমরা বলতে চাই না। তাদের আচরণ অসৌজন্যমূলক ছিল। তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার সুযোগ দিলেও তারা শিক্ষকদের উপর হামলা চালিয়েছে।”