রাস্তায় পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না: মন্ত্রী মোশাররফ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী ঈদ উল আজহায় রাস্তায় কোনো পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2017, 01:29 PM
Updated : 19 July 2017, 02:16 PM

আর ঈদের দিন বৃষ্টি হলে কোরবানির পশুর রক্ত যেন রাস্তায় জমে থাকা পানির সঙ্গে মিশে প্রবাহিত না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ঈদ উল আজহায় নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাই এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনগুলোর পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার এক সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।

গত বছর ঈদে ঢাকার একটি এলাকায় কোরবানির পশুর রক্ত রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানির সাথে মিলে লাল হয়ে যায়। এই ছবি প্রকাশের পর তা নিয়ে ফেইসবুকে আলোড়ন তৈরি হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, “বৃষ্টির মধ্যে কোরবানি হলে যেন সে রক্ত জমে থাকা পানিতে না যায় সে বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বৃষ্টির সময় কোরবানির পশুর রক্ত পানিতে মিলে পরিবেশ দূষণ করে।”

গত কোরবানির ঈদের ওই ছবির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এ ধরনের ছবি আন্তর্জাতিকভাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এটার সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে। এমন কোনো কিছু করা যাবে না, যাতে সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিব্রতকর অবস্থায় দাঁড়ায়।”

বাড়ির আঙিনায় জবাই করা পশুর রক্ত জমে থাকা পানিতে যাওয়ায় পুরো রাস্তা লাল হয়ে গিয়েছিল বলে জানান মেয়র।

এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে খোকন বলেন, “সাংবাদিক ভাইরা হয়ত অসতর্কতাবশত ছবিটি দিয়েছেন। তবে আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত বিব্রত করেছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাব, এমন কোনো কিছু করা যাবে না যেটা সামাজিক পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।”

এবার কোরবানির বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী মোশাররফ বলেন, “নিজের আঙ্গিনায় যদি সুব্যবস্থা থাকে তাহলে সেখানেই পশু কোরবানি দেবেন। কিন্তু কোনো কোরবানি রাস্তায় করা যাবে না।”

চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই তদারকিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা বলেন। তাতে দ্বিমত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আইনকানুন না দেখালেই ভালো হয়।”

সভায় জানানো হয়, এবার ঈদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই লাখ ৭৫ হাজার এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে দুই লাখ ২১ হাজার পশু জবাই হতে পারে। ঢাকা দক্ষিণে হাট বসবে ১৩টি, উত্তরে বসবে ১০টি। ঢাকা উত্তরে পশু জবাইয়ের স্থান ৫৪৯টি এবং দক্ষিণে ৫৫৫টি।

সভার কার্যপত্র থেকে জানান যায়, দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনে এবার পশু কোরবানি হতে পারে সাত লাখ ৫৩ হাজার ৬৬০টি, হাটের সংখ্যা হবে ৯৬টি এবং পশু কোরবানি দেওয়ার নির্ধারিত স্থান হবে দুই হাজার ৯২৭টি।

সভায় ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকসহ অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা উপস্থিত ছিলেন।