মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল অভিযানে গিয়ে তাকে ধরে।
নাসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণকালে তাকে হাতেনাতে আমরা আটক করি।”
বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর কাছ থেকে ফখরুল ‘ঘুষ’ নিচ্ছিলেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান।
“কিন্তু নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলাম ওই সব জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন সময় প্রতিটি জাহাজের আকার ভেদে পাঁচ থেকে ১৬ লাখ টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ ছাড়া তিনি কোনো জাহাজের নকশা অনুমোদন করবেন না বলে জানান।”
‘এমভি নওফেল লিহান’ নামের একটি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য গত বছরের ১৩ এপ্রিল আবেদন করা হয়। এর জন্য ফখরুল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এএনএম বদরুল আলমের কাছে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে প্রণব জানান।
“ফখরুল ইসলাম তার নিজের দপ্তরে বদরুলের থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের সময় হাতে-নাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।