‘ঘুষের টাকা’সহ ধরা প্রধান নৌ প্রকৌশলী

নিজের কার্যালয়ে বসে ‘ঘুষ নেওয়ার সময়’ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2017, 10:19 AM
Updated : 18 July 2017, 04:50 PM

মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল অভিযানে গিয়ে তাকে ধরে।

নাসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণকালে তাকে হাতেনাতে আমরা আটক করি।”

বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর কাছ থেকে ফখরুল ‘ঘুষ’ নিচ্ছিলেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২২টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে আবেদন করে। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ধারা ৫ (ক) অনুযায়ী নকশা জমা হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ অনুমোদন দিতে হয়।

“কিন্তু নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলাম ওই সব জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন সময় প্রতিটি জাহাজের আকার ভেদে পাঁচ থেকে ১৬ লাখ টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ ছাড়া তিনি কোনো জাহাজের নকশা অনুমোদন করবেন না বলে জানান।”

‘এমভি নওফেল লিহান’ নামের একটি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য গত বছরের ১৩ এপ্রিল আবেদন করা হয়। এর জন্য ফখরুল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এএনএম বদরুল আলমের কাছে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে প্রণব জানান।

“বদরুল বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টকে গ্রেপ্তারে ঘুষ দেওয়ার পূর্ব নির্ধারিত সময় মঙ্গলবার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের চারদিকে দুদকের ১১ সদস্যের একটি দল অবস্থান নেয়।

“ফখরুল ইসলাম তার নিজের দপ্তরে বদরুলের থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের সময় হাতে-নাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।