রডের বদল বাঁশ: ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র হচ্ছে

গাইবান্ধার একটি বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের মামলায় প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2017, 01:50 PM
Updated : 17 July 2017, 05:19 PM

সোমবার কমিশন এতে অনুমোদন দেয় বলে সংস্থার উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন, গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক এ এস এম আরেফ বিল্লাহ, ঠিকাদার আব্দুল খালেক সরকার ও অধিদপ্তরের কর্মচারী মো. সাইফুল ইসলাম।

অভিযোগপত্রটি শিগগিরই বিচারিক আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান প্রণব ভট্টাচার্য্য।

গাইবান্ধার মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার (ওয়াশ ব্লক) নির্মাণকাজে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগে গত বছরের ১৮ এপ্রিল জেলার সদর থানায় মামলা করে দুদক।

প্রণব জানান, ঠিকাদার খালেক সরকার ও প্রকৌশলী আরেফ বিল্লাহর নামে মামলা হলেও তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় কর্মচারী সাইফুলকেও এতে যোগ করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া। তিনি মামলার বাদীও।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর দায়িত্ব পান সাদুল্যাপুর উপজেলার ঠিকাদার খালেক।

এই শৌচাগার নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার হয়েছিল

নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন ঢালাইয়ের কাজে ১০ থেকে ১২ মিলিমিটার লোহার রড ব্যবহার করার কথা থাকলেও ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে চিকন বাঁশ ব্যবহার করা হয় বলে এজাহারে বলা হয়।

এই ঘটনায় গত বছরের এপ্রিলের শুরুতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে রংপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আল আমিনকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলার পর দুদক মামলাটি করে।

মামলা দায়েরের আগেই গত বছরের ১৩ এপ্রিল গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় থেকে ঠিকাদার ও ওই প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার করেছিল দুদক।

এ ঘটনায় উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ বিল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।