গুলশান হামলার মামলায় ফের রিমান্ডে সোহেল

গুলশান হামলার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নব্য জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা সোহেল মাহফুজকে ফের ছয়দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2017, 01:17 PM
Updated : 17 July 2017, 01:28 PM

প্রথম দফায় সাতদিনের রিমান্ড শেষে সোহেলকে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টর টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির নতুন করে তার আটদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার ছয়দিন মঞ্জুর করেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই ফরিদ মিয়া জানান।

এর আগে গত ৯ জুলাই তাকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা।

গত ৭ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পুষ্কনী গ্রাম থেকে তিন সহযোগীসহ সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোহেল গত বছরের গুলশান হামলার গ্রেনেড সরবরাহকারী বলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা দাবি করে আসছেন, যে হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন।

হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলাটির তদন্ত সোহেলসহ কয়েকজন জঙ্গি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আটকে আছে বলে ক’দিন আগেই তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাদিপুর কাবলিপাড়ার রেজাউল করিমের ছেলে সোহেল জেএমবির প্রতিষ্ঠাকালীন শূরা সদস্য বলে গোয়েন্দাদের দাবি।

তারা বলছেন, সোহেল নসরুল্লাহ, শাহাদাত, রিমনসহ নানা নামে পরিচিত। এক হাত না থাকায় তিনি ‘হাতকাটা সোহেল’ নামেও পরিচিত।

পুলিশের ভাষ্য, ২০০৫ সালে নওগাঁর আত্রাই এলাকায় বাংলাভাইয়ের সঙ্গে বোমা বানাতে গিয়ে সোহেলের একহাত উড়ে গিয়েছিল।

দুই বছর আগে সোহেল নব্য জেএমবিতে যোগ দেন বলে গোয়েন্দারা তথ্য পায়। তার আগে তিনি ভারতে পালিয়ে ছিলেন বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছে।

তিন বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণকাণ্ডেও সোহেলকে সন্দেহ করছে ভারতের গোয়েন্দারা।

বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সোহেল জেএমবির ভারত শাখার প্রধান ছিলেন।