চট্টগ্রামের এই মামলাটির অভিযোগপত্র সোমবার অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলামের সঙ্গে তার স্ত্রী ও দুই ভাইও এই মামলার আসামি।
প্রণব ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চট্টগ্রামের রাইজিং স্টিল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসলাম চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অনুমোদন করা অভিযোগপত্র শিগগিরই বিচারিক আদালতে উপস্থাপন করা হবে।”
আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনিল মাওলা রাইজিং স্টিল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান। তার দুই ভাইয়ের মধ্যে আমজাদ হোসেন চৌধুরী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং জসিম উদ্দিন চৌধুরী পরিচালক।
এবি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে অর্থ তুলে আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় ওই চারজনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস।
মামলার অন্য দুই আসামি ছিলেন এবি ব্যাংকের সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি, হেড অব ক্রেডিট) বদরুল হক খান এবং এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম ফজলুর রহমান।
প্রণব জানান, তদন্তে শুধু চারজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় অন্য দুই আসামিকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক মোশারফ হোসেইন মৃধা ও বাদী মানিক লাল দাস মামলাটি তদন্ত করেন।
এজাহারে বলা হয়, আসলাম চৌধুরীর পারিবারিক মালিকানাধীন রাইজিং স্টিল লিমিটেড পুরাতন জাহাজ কেনার জন্য ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনটি ঋণপত্রের (এলাসি) বিপরীতে এবি ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেননি।
বিপুল পরিমাণ ঋণের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি ১৭ কোটি ৪০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা মূল্যের সম্পত্তির দুটি দলিল ও তিনটি চেক জামানত হিসেবে দেয়। আসলাম চৌধুরী নিজেই জামিনদার ছিলেন বলে প্রণব ভট্টাচার্য্য জানান।
ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পাটির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে একটি ছবি গণমাধ্যমে আসার পর তা নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত বছরের ১৫ মে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন আসলাম। এরপর তার বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোড়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়।