জীবিতকে মৃত দেখিয়ে প্রতিবেদন, আখাউড়ার ওসিকে তলব

হজের জন্য পুলিশ প্রতিবেদনে জীবিত এক ব্যক্তিকে মৃত দেখানোর ব্যাখ্যা দিতে আখাউড়া থানার ওসিকে তলব করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2017, 09:48 AM
Updated : 17 July 2017, 09:48 AM

আগামী ২৩ জুলাই হাই কোর্টে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

পুলিশ প্রতিবেদনে জীবিত ব্যক্তিতে মৃত দেখানো কেন বেআইনি হবে না, রুলে  তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, ধর্ম সচিব, পুলিশ প্রধান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি ও আখাউড়া থানার ওসিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পুলিশ প্রতিবেদনে মৃত আজাদ হোসেন ভূঞা

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মো. কায়সার জাহিদ ভূঁইয়া।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আখাউড়ার বাসিন্দা আজাদ হোসেন ভূঞার হজে যাওয়ার কথা ছিল ১৮ বা ২৯ জুলাই। কিন্তু ২০ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পুলিশ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় সেখানে তাকে মৃত উল্লেখ করা হয়।

“পরে তিনি এ বিষয়ে রিট করেন। সোমবার আদালত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আখাউড়া থানার ওসিকে তলব করেছেন এবং রুল জারি করেছেন।”

ভুক্তভোগী ওই হজযাত্রী আজাদ হোসেন ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, চার-পাঁচমাস আগে তিনি হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেন এবং টাকাও জমা দেন।

তিনি বলেন, “পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আখাউড়া থানা থেকে দারোগা আবুল কালাম আমাকে ফোন দেন। আমি তখন ঢাকায়। আমাকে বলা হলো, ওই দিনই থানায় যোগাযোগ করতে।

“আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব না জানালে ওই কর্মকর্তা আমার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে আমার ভাইকে পাঠাতে। কথা মত আমার ভাই থানায় গেলে তাকে বলা হয়, আমার নামে মামলা আছে, আমাকেই থানায় যেতে হবে।”

আজাদ বলেন, “পরদিন আমি থানায় গিয়ে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন, ‘আপনার নামে তো মামলা আছে; আবার আপনি বিএনপি করেন। ভেরিফিকেশন পেতে খরচাপাতি করতে হবে।

“আমি বললাম, আমার নামে দুইটা মামলা আছে, দুইটাই রাজনৈতিক। এ দুই মামলায় প্রথম থেকেই জামিনে আছি।”

এজন্য তিনি অর্থ দিতেও রাজি হননি বলে জানান।

এরপর ২০ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ আপডেটে তাকে মৃত দেখানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আমাকে মৃত দেখানো হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি হজে যেতে চাই।