শিক্ষার মান্নোয়ন হলে সীমান্তে অপরাধ কমবে: বিএসএফ প্রধান

‘সীমান্ত অপরাধ’ কমাতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও এর মান্নোয়নের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক কে কে শর্মা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2017, 06:39 PM
Updated : 16 July 2017, 06:39 PM

সীমান্ত এলাকার জনগণের শিক্ষার মান্নোয়নে ভারতীয় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী জনগণের শিক্ষার মান্নোয়ন করলে ‘সীমান্ত অপরাধ’ অনেক কমে আসবে।

রোববার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশি একদল সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি একথা বলেন।

এদিন বিজিবির ৯০তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএফ প্রধান।

বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ‘সুসম্পর্ক’ থাকলে সীমান্তের বিভিন্ন অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন কে কে শর্মা।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের দুই বাহিনীর মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্কের কারণে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সহজেই করতে পারছি।

“গত কিছু বছর ধরে দুই দেশের সীমান্তের সৈনিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক জোরদার হয়। আর এই কারণেই সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান কমেছে।”

উভয় দেশের সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী প্রধান বলেন, “সীমান্তে যারা বসবাস করে তাদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। অপরাধ কমানোর বিষয়ে তাদের সচেতন করতে হবে। তবেই সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান শক্তভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

“দুই সীমান্তে মানুষের জীবনযাপনের মান একই ধরনের এবং তারা একে অপরের সঙ্গে আত্মীয়তা করে থাকে। তাদের মধ্যে শিক্ষার মান্নোয়ন করাতে পারলে সীমান্ত হত্যাসহ নানা অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।”

দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় নতুন করে আরও কিছু ‘সীমান্ত হাট’ বসানো দরকার বলে মনে করেন বিএসএফ প্রধান।

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে দুই দেশের সীমান্তে বর্ডার হাট চালু রয়েছে। আমরা আরও কিছু বর্ডার হাট চালু করব। উভয় দেশের জনগণ তাদের পণ্যের রদবদল ও বিকিকিনি করতে পারলে চোরাচালান অনেকাংশে কমবে।”

সীমান্তহত্যা অনেক কমেছে দাবি করে তিনি বলেন,  “হিউম্যান ট্র্যাফিকিং, মাদক চোরাচালান, স্বর্ণ চোরাচালান ও মুদ্রা জালিয়াতির মতো অপরাধ হচ্ছে। অপরাধীরা কোন দেশের সেটা বড় বিষয় নয়। কীভাবে এসব অপরাধীদের দমন করা যায় এবং ভুক্তভোগীদের কীভাবে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে দুই বাহিনী আলোচনা করে সীমান্তে শান্তি রক্ষায় কাজ করছে।”