হাসিনাকে নিয়ে ‘কটূক্তি’র মামলায় ইমরানের জামিন

ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদী মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘কটূক্তির’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ও মঞ্চের কর্মী সনাতন উল্লাস।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2017, 06:14 AM
Updated : 16 July 2017, 06:46 AM

রোববার তারা ঢাকার মহানগর হাকিম এসএম মাসুদ জামানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তা মঞ্জুর করেন।

ইমরান ও সনাতনের পক্ষে জামিনের শুনানি করেন আইনজীবী প্রকাশ বিশ্বাস, জীবনানন্দ জয়ন্ত ও তানজিম আল ইসলাম। বাদীপক্ষে ছিলেন নোমান হোসাইন তালুকদার।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী গত ৩১ মে এই মামলা দায়ের করেন। আর্জিতে তিনি বলেন, গত ২৮ মে মশাল মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘যে কটূক্তি’ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তিনি ক্ষুব্ধ, অপমানিত।

“যেহেতু বাদী বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করেন এবং আওয়ামী লীগের প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেই কারণে বাদীর নিজেরও মানহানি হয়েছে।”

গণজাগরণ মঞ্চের ওই মিছিল থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠার পর ইমরানকে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রব্বানী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার উদ্যোগে একটি মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সেদিন ইমরান এইচ সরকারকে শাহবাগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান ছাত্রলীগেরই রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের জামাতা।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণের আন্দোলনের সূচনায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে এর আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন ইমরান। শুরুতে ছাত্রলীগ এই মঞ্চের সঙ্গে থাকলেও পরে সরে যায়। এখন বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ও কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন মঞ্চে সক্রিয়।

গণজাগরণবিরোধী হেফাজতের ‘দাবি মেনে’ পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন লেখা বাদ দেওয়ার পর সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনের প্রতিক্রিয়া আসে মঞ্চের কর্মীদের কাছ থেকে।

ওই সময় এক প্রতিক্রিয়ায় ইমরান বলেছিলেন, মৌলবাদীদের ‘তুষ্ট করতে নোংরা রাজনৈতিক খেলায়’ নেমেছে সরকার, ‘আখের গোছাতে ব্যবহার করছে’ ধর্মকে।