ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মাঠ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ইসির নির্দেশনা পাঠান।
আগামী ২৫ জুলাই থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হবে তাদের তথ্য নেওয়া হবে এবার।
ইতোপূর্বে হালনাগাদে নারী ভোটারদের আশাব্যঞ্জক সাড়া না পাওয়ায় উদ্বেগ রয়েছে কমিশনের। বাংলাদেশের মোট ১০ কোটি ১৮ লাখের বেশি ভোটারের মধ্যে নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি। শতকরা হিসাবে পুরুষ ভোটার ৫১ জনের বিপরীতে নারী ৪৯ জন।
তবে সর্বশেষ হালনাগাদে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটার প্রায় ৬ শতাংশ কম। হালনাগাদের পর নারী-পুরুষের ব্যবধানও কমে আসবে বলে ধারণা করছেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
বিগত ভোটার তালিকায় মহিলা ভোটার কম হওয়ার জন্য আটটি কারণের কথা বলা হয়েছে কমিশনের নির্দেশনায়।
নির্ধারিত ফি দিয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহে অনীহা, হিন্দু বিবাহিত মেয়েদের পিত্রালয়ে নিবন্ধনে অনীহা, অবিবাহিত মেয়েদের ভোটার হতে অনীহা, বাবা-মা’র জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে ব্যর্থ হওয়া, রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র দূরে হওয়া, আবহাওয়া অনুকূল না থাকা, ধর্মীয় অজুহাতে ছবি তুলতে অনীহা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মহিলাদের অসচেতনতা সঠিক নারী ভোটার না হওয়ার অন্যতম কারণ।
বিষয়গুলো মাথায় রেখে হালনাগাদ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সমন্বয় কমিটিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সেই সঙ্গে হালনাগাদের সময় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, দফাদার ও গ্রাম পুলিশকেও রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
নারীদের ভোটার করা নিশ্চিতে স্থানীয় মহিলা জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে জেলা, উপজেলা, সিটি, পৌর ও ইউপি’র সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার হালনাগাদের ব্যাপক প্রচারণার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।