চিকুনগুনিয়া নিয়ে রিটের শুনানি মুলতবি

চিকুনগুনিয়ার প্রদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে করা রিট আবেদনের আংশিক শুনানি নিয়ে তা মুলতবি রেখেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2017, 09:22 AM
Updated : 4 July 2017, 11:47 AM

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুজাউদ্দোলা আকন্দ মঙ্গলবার ওই আবেদন করার পর তা বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।

শুনানি শেষে সুজাউদ্দোলা আকন্দ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিট আবেদনে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় যে পদক্ষেপ নেওয়ার আরজি জানানো হয়েছে, সে পদক্ষেপগুলো সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে আদালত সম্পূরক আবেদন করতে বলেছে।”

তিনি জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের যেসব স্থানে চিকুনগুনিয়ার প্রদুর্ভাব রয়েছে, সেসব স্থানে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে তার আবেদনে।

স্বাস্থ্যসচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এই রিটে বিবাদী করা হয়েছে।   

চিকুনগুনিয়া নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনও রিট আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন সুজাউদ্দোলা আকন্দ।

এডিস প্রজাতির এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া রোগের সংক্রমণ ঘটে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসটি টোগা ভাইরাস গোত্রের। মশাবাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাসও বলে।

ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসও এই মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম। এ ধরনের মশা সাধারণত ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যায় কামড়ায়। একটি পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে  মশার মাধ্যমে অন্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকুনগুনিয়া হলে শরীরের গিটে গিটে ব্যথার পাশাপাশি মাথা কিংবা মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি, চামড়ায় লালচে দানা, বমি বমি ভাব হতে পারে।

চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে জ্বর হলে প্যারাসিটামল সেবন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

ঘরের ভেতরে অর্ধস্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ফেলে রাখা কৌটা বা বোতল, পানির ট্যাংক, ছাদে জমে থাকা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, আবর্জনার স্তুপ বা ডাবের খোসার ভেতরেও জন্ম নিতে পারে এডিস মশা। তাই বাড়ির ভিতরে, বাড়ির ছাদে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।

চলতি বর্ষা মওসুমের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ঢাকার ২৩টি এলাকাকে এ রোগের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারের রোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইইডিসিআর।