‘কে ভেবেছিল এত বড় ঘটনা’

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে এক বছর আগে জঙ্গি হামলার পর ভয়াবহতার মাত্রা বোঝার আগেই তৎপর হয়েছিল পুলিশ।

তাবারুল হককামাল হোসেন তালুকদার ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2017, 03:36 PM
Updated : 1 July 2017, 04:05 AM

হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং স্থানীয় এক বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীর বর্ণনায় উঠে এসেছে সেই রাতের ভয়াবহতার চিত্র।

ওই অভিযানে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, হঠাৎ বিস্ফোরণে প্রায় শতাধিক পুলিশ সদস্য ছিঁটকে গিয়েছিলেন যে যার মতো করে। দুজনের প্রাণহানি ছাড়াও আহত হন ৩২ জন পুলিশ সদস্য।

সে সময় গুলশান থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম ও বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওয়াহিদুজ্জামানও আহত হয়েছিলেন। গত বছর ১ জুলাই সন্ধ্যায় বিদেশিদের কাছে জনপ্রিয় গুলশানের এই ক্যাফেতে জঙ্গি হামলার পরপর পুলিশের তৎপরতার কথা স্মরণ করেছেন তারা।

ওই দিনের ঘটনার বর্ণনায় পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোজার ঈদের সপ্তাহখানেক আগের ওই সন্ধ্যায় তিনি তার থানার এসআই ইয়াছিনকে ঈদযাত্রীদের নির্বিঘ্নে ঢাকা ছাড়ার বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন।

১ জুলাই ২০১৬। রোজা তখন প্রায় শেষ দিকে। রাত ৯টার দিকে গোলাগুলির খবর পেয়ে গুলশাল-২ পৌঁছাতেই দেখা গেল পুলিশের রোডব্লক। পুলিশ সদস্যরা জানালেন, বড় ধরনের কিছু ঘটেছে।  

রাত পৌনে ৮টার দিকে হঠাৎ ওয়্যারলেস সেটে শুনতে পান ‘গুলি করছে, মেরে ফেলল, আমাদের পাল্টা গুলি করতেছে’।

“এ রকম গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেলাম। কে বা কারা ওয়্যারলেস সেটে চিল্লাচিল্লি করতেছে।”

“আমি ভাবলাম হয়ত গুলশানের কোনো রেস্টুরেন্টে কোন বড় লোকের ছেলে বা মেয়ে কেউ কাউকে ইভটিজ করেছে। হয়ত এসবকে কেন্দ্র করে একপক্ষ আরেক পক্ষকে আক্রমণ করতে যাচ্ছে। এ রকম ধারণা করেছিলাম আমি।

“তারপর দেখলাম ওয়্যারলেস সেটের অবস্থা বেগতিক। বারবার চিল্লাচিল্লি করতেছে এই বলে যে ‘আমাদেরকে বাঁচান, উদ্ধার করেন, আমাদের মেরে ফেলল’। এসব কথা ওয়্যারলেস সেটে শুনতেছিলাম।”

এরপর এসআই ইয়াছিনকে নিয়ে থানার সামনে আসেন ওয়াহিদুজ্জামান। কিন্তু তারপরেও ওয়্যারলেসে ভেসে আসে গুলির। তখন বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিনের কক্ষে উঁকি দিয়ে দেখেন তিনি নেই।

অবস্থা বেগতিক দেখে থানা থেকে একটি শটগানে ২০ রাউন্ড গুলি ভরে ইয়াছিনকে নিয়ে গাড়িতে করে কামাল আতাতুর্ক রোডের দিকে এগোন। ধারণা করেছিলেন, গুলশান থেকে সন্ত্র্রাসীরা এই সড়ক হয়ে কাকলির দিকে এলে প্রতিরোধ করবেন।

“কে ভেবেছিল এত বড় ঘটনা এটি!,” বলেন ওয়াদিজ্জুমান।

ঠিক ওই সময় ওয়্যারলেসে ভেসে আসে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদের কণ্ঠ।

“স্যার বলছেন, যে যেখানে আছেন গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কে দ্রুত চলে আসেন। যে যে অবস্থায় আছেন প্রত্যেক মোবাইল পার্টি চলে আসবে।”

এই বার্তা পাওয়ার পর গুলশান ৭৯ সড়কের পথ ধরেন ওয়াহিদুজ্জামান।

“গুলশান চার রাস্তার মোড়ে গিয়ে গাড়ি রেখে শর্টগান নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছি। সেখানে গিয়ে ডিসি স্যার, এডিসি আহাদ স্যার, গুলশান জোনের এসি রফিকুল ইসলাম স্যার, ওসি সালাউদ্দিন স্যার, গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম স্যার ও গুলশান ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রাকিবসহ কিছু ফোর্স দেখতে পান তিনি।

রাত ৮টার দিকে হলি আর্টিজানের ফটকে পৌঁছে যান ওয়াহিদুজ্জামান। আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সেখানে দেখতে পান তিনি।

হামলার খবর পেয়ে ৭৯ নম্বর সড়কের মুখে অবস্থান নেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই সড়কেরই শেষ মাথায় হলি আর্টিজান  বেকারি।

ডিসি মোস্তাকের নির্দেশে চারদিকের রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ সদস্যরা।

ওয়াহিদু্জ্জামান বলেন, “প্রথমে বুঝতে পারিনি ঘটনা কোথায় ঘটছে হলি আর্টিজানে না ক্লিনিকে। তাই কিছুক্ষণ ক্লিনিকের দিকে আবার কিছুক্ষণ হলি আর্টিজান বেকারির দিকে অস্ত্র তাক করেছিলাম।

“মাঝে মাঝে সালাউদ্দিন স্যার তার পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ছিলেন। এসময় ডিসি স্যার ওসি গুলশান, বনানী ও আমাকে পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য নিয়ে গ্রুপ তৈরি করতে বললেন। এছাড়া আরও কিছু সদস্য গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গেইটের ডান ও বাঁ পাশে অবস্থান নিলাম।”

এ সময় গুলশান জোনের এসি রফিকুল ইসলাম কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে পাশের ভবনের ছাদে চলে যান।

“রাত তখন সাড়ে ৮টা, ডিসি স্যারের নির্দেশে এসআই রাকিব এবং আমি শর্টগান দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ছিলাম।”

এর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর, রাত পৌনে ৯টার দিকে ডিএমপির তখনকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মারুফ হাসান ঘটনাস্থলে আসেন। তখন সবাই তাকে ঘটনা সম্পর্কে বলেন। রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ডিএমপির পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

“ওসি সালাউদ্দিন স্যার কমিশনার স্যারকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে দিলেন। তারপর আমরা হলি আর্টিজানের প্রধান গেইট দিয়ে ভেতরে ঢোকার প্রস্তুতি নিলাম।

একটু ভেতরে ঢুকে পিছু হটলাম। পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর গেইট দিয়ে সামনে অগ্রসর হলাম। ঠিক তখনই দুই থেকে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেলাম।

“বিকট শব্দ হওয়ার পর পিছু হটে দ্রুত পশ্চিম দিকের রাস্তায় চলে আসলাম। তখন দেখি এডিসি আহাদ স্যার খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, বুঝতে পারলাম উনার শরীরে গুলি বা বোমার স্প্লিন্টার কিছু একটা লেগেছে। স্যারের পরনে থাকা সাদা পায়জামা রক্তে লাল হয়ে গেছিল।”

এডিসি আহাদকে কাঁধে তুলে চার রাস্তার মোড়ে আরেক এডিসি সাহেদের কাছে পৌঁছালে তিনি তাকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

“আমিও পেছনে কিছুর আঘাত লাগার ব্যাথা অনুভব করেছিলাম। পরে দেখলাম যে, বাঁ পায়ের পেছনে ছোট্ট একটু ক্ষত এবং সে ক্ষত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে, তবে একটু পর রক্ত রেব হওয়া বন্ধ হয়ে গেল।”

এ সময় গুলশান থানার পরিদর্শক তদন্তের কাছে বনানীর ওসি সালাউদ্দিনের হলি আর্টিজানের পাশের ভবনের সামনে আহত অবস্থায পড়ে থাকার খবর পান ওয়াহিদুজ্জামান।

“একথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিয়ে ওই ভবনের সামনে দৌড়ে চলে গেলাম। কিন্তু সালাউদ্দিন স্যারকে ভবনের সামনে পাইনি। ভবনের ভেতরে ঢুকে দেখতে পাই কমিশনার স্যার, ডিসি স্যার মোবাইল ফোনে কথা বলছেন আর পায়চারি করতেছেন।”

এরপর মহাখালী পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মাহবুবের কাছে ওসি সালাউদ্দিনের অবস্থান জানতে চান তার থানার পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। মাহবুব জানাল, ‘সালাউদ্দিন স্যার’ ভবনের ফটকের ভিতরে।

উৎকণ্ঠার সেই রাতে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে দেখা যায় নৌবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দলকে।

“আমি এসে দেখলাম, সালাউদ্দিন স্যারকে পশ্চিম দিকে মাথা দিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে। স্যারের গায়ের শার্ট গলায় পেঁচানো। পরে জানতে পারি সালাউদ্দিন স্যারকে ডিসি গুলশান স্যার রাস্তা থেকে ভেতরে নিয়ে আসেন।

“সালাউদ্দিন স্যারের গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে দেখেই হয়ত কেউ স্যারের গায়ের শার্ট খুলে গলায় পেঁচিয়েছে।”

ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “আমি চিৎকার করে মাহবুবকে বললাম, তাড়াতাড়ি আসো সালাউদ্দিন স্যার মরে যাচ্ছেন। মাহবুবকে নিয়ে স্যারকে ধরে বের করলাম কিন্তু স্যারের দেহ নিচের দিকে নেমে যাচ্ছিল, তার সারা শরীর রক্তে ভেজা।

“কোন গাড়িও পাচ্ছিলাম না। তখন ভবনের বাইরে রাস্তায় ওসি স্যারকে রাখলাম। এসময় গুলশানের তদন্ত সালাউদ্দিন ‍পুলিশের একটি পিকআপ নিয়ে আসেন। স্যারকে পিকআপে তুলে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে বললেন মারা গেছেন সালাউদ্দিন স্যার।”

পরদিন সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয় সামরিক বাহিনীর কমান্ডোদের অপারেশন থান্ডার বোল্ট।

হলি আর্টিজানের পাশের ভবন ‘সেতারা’র নিরাপত্তকর্মী নিয়ামুল বাছির বলেন, “ইফতারের পরপরই হামলা হয়েছিল। এক পর্যায়ে দেখি, পাশে (হলি আর্টিজানের গেইটে) একটি লোক পড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। তখন বুঝলাম বিরাট ঝামেলা হচ্ছে, তাই আমাদের গেইটটাও আমরা লক করে দেই।

“এরপর হলি আর্টিজানের ভেতর থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পাই। পরে আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি, এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ আসে।”

হামলার কথা না জেনে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য আসা দেশি-বিদেশি অনেককে ওই সময় ফিরিয়ে দেন বলে জানান নিয়ামুল।

তিনি বলেন, “এরপর পুলিশ আসল, পুলিশ সরাসরি পাল্টা আক্রমণে না গিয়ে আমাদের ভবনে আসে। ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ অ্যাটাকে যাওয়ার প্ল্যান নিল। আমাদের একটা সমস্যা ছিল যে, ওই সাইড (হলি আর্টিজান) ফাঁকা ছিল, তাই এই সাইডে ভয়ে আসতাম না, রিসিপশনের কাছে ছিলাম।”

বিস্ফোরণের পর ওসি সালাউদ্দিন অনেকক্ষণ রাস্তায় পড়েছিলেন এবং তাকে হাসপাতালে নিতে দেরি হয় হয়েছিল বলে অনেকে বললেও তা অস্বীকার করেন পরিদর্শক ওয়াহিদ।

সামরিক বাহিনীর কমান্ডোরা সাঁজোয়া যান নিয়ে প্রবেশ করেন ৭৯ নম্বর সড়কে। তার আগেই স্নাইপাররা আশপাশের ভবনে অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একথা ঠিক নয়। বিস্ফোরণের পর যেসব ঘটনা বললাম, তা পাঁচ মিনিটের মধ্যেই হয়েছে অর্থাৎ পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ওসি সালাউদ্দিন স্যারকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

“সালাউদ্দিন স্যারের পর এসি রবিউল স্যারকে কে বা কারা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক এসি স্যারের বুকে চাপ দিচ্ছিল। স্যারের পালস উঠা-নাম করতেছে।”

এ সময় জরুরি বিভাগে আহত এডিসি আহাদকে ওসি সালাউদ্দিনের মৃত্যুর খবর জানান ওয়াহিদুজ্জামান।

“আহাদ স্যার কপালে হাত দিয়ে ‘ইস’ শব্দ করে বললেন কী কন!”

এসময় হাসপাতালে আইজিপি শহীদুল হক ও ডিবির ডিসি (উত্তর) নাজমুল আলম দেখতে পান ওয়াহিদুজ্জামান।

“নাজমুল স্যারকে জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললাম, স্যার ওসি সালাউদ্দিন মারা গেছে। নাজমুল স্যার বলল, আমার এসি রবিউলও মারা গেছে।”

হলি আর্টিজান বেকারির সীমানা দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান।

এরপর ওসি সালাউদ্দিনের মোবাইল, মানিব্যাগ নিজের কাছে নিয়ে মৃতদেহ হিমঘরে রেখে সারারাত হাসপাতালে কাটান ওয়াহিদুজ্জামান।

হামলার পরপর প্রথম দিকে যারা হলি আর্টিজানের কাছে পৌঁছান তাদের একজন তখনকার গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।

বর্তমানে চকবাজার জোনের এই সহকারী কমিশনার সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “রমজান মাস ছিল। ইফতার করে থানার অফিস কক্ষের পাশে ছোট একটি কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। রাতে টেলিফোনে মেসেজ আসল যে, ৭৯ নম্বর রোডে গোলাগুলি হচ্ছে। এ খবর পাওয়ার পর দ্রুত মোবাইল টিমকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিলাম এবং আমি নিজেও দ্রুত রওয়ানা হলাম।”

এসআই খালিদ ও নিজের দেহরক্ষী মানিককে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে হলি আর্টিজানের গেইটের দিকে এগিয়ে যান বলে জানান সিরাজুল। এসময় তার সঙ্গে এসআই রাকিব ও ব্যাটালিয়নের একজন কনস্টেবল যোগ দেন।

“পাশের ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে গোলাগুলি করি এবং ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাই। কিছুক্ষণ পর কমিশনার স্যার, ডিসি স্যারসহ অন্যান্য স্যারেরা আসে এবং পরিকল্পনা করে ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরে ঢোকার পর পেছনে দুই থেকে তিনটি বিকট শব্দ হয়।”

ওই সময় তিনি গ্রেনেডের স্প্লিন্টারে আহত হয়ে হামাগুঁড়ি দিয়ে পাশের ভবনের একটি গ্যারেজে ঢোকেন। কেউ একজন এসে নিজের গেঞ্জি তার দুই পায়ের যেখান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল, সেখানে বেঁধে দিয়েছিলেন।

“দেখলাম সালাউদ্দিন পড়ে রযেছে। পরে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ আমাদের হাসপাতালে নিয়ে গেল।”

এক সপ্তাহ ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর সিএমএইচে ছিলেন কিছুদিন।