আগামী ২ জুলাই ওই পাঁচ আইনজীবীকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর অবকাশকালীন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল দেয়।
পাঁচ আইনজীবী হলেন নূরে ই আলম উজ্জ্বল, বিল্লাহ হোসেন লিজেন পাটোয়ারী, মাহমুদ, মতি লাল বেপারী ও মোহাম্মদ আলী।
কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, রুলে তা চাওয়া হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশে বলা হয়, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর অবকাশকালীন বেঞ্চে যখন ২৪ নম্বর কক্ষে (এনেক্স) বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলেন, তখন কিছু সংখ্যক আইনজীবী চিৎকার শুরু করেন, যা আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছিল।
তাদের এই চিৎকার- চেঁচামেচি বন্ধ করতে বললে ওই আইনজীবীরা ডায়াসে এসে বেঞ্চ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের উপর চড়াও হন এবং রফিকুল ইসলামের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পাশাপাশি শুনানি না হওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতের মালামাল ভাংচুর ও নথি তছনছের অভিযোগও উঠেছে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে।
আইনজীবীদের এই আচরণ আদালতের মর্যাদা, সম্মান ও মহিমাকে খাটো করে এবং এর মাধ্যমে আদালত সম্পর্কে মানুষের মূল্যায়নকেও খাটো করা হয়েছে বলে আদেশে বলা হয়েছে।