নারী প্রতিনিধিত্ব ও আর্থিক প্রতিবেদন দিতে দলগুলোকে চিঠি

সব পর্যায়ের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্বের অগ্রগতি জানতে চেয়ে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2017, 01:57 PM
Updated : 13 June 2017, 01:57 PM

আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দলগুলোর ২০১৬ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দলের সব পর্যায়ের কমিটিতেঅন্তত ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।দলগুলো নিবন্ধন নেওয়ার সময় এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

“আমরা বিধানটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে দলগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছি।সেই সঙ্গে এ পর্যন্ত অগ্রগতি জানাতে দলগুলোকে অনুরোধ করেছি।”

মঙ্গলবার ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি দলগুলোর মহাসচিব/সাধারণ সম্পাদক বরাবরপাঠানো হয়েছে বলে জানান মোখলেসুর।

আরপিও’র ৯০-এর খ-এর খ(২) অনুচ্ছেদেকেন্দ্রীয় কমিটিসহ রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ সদস্যপদ নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং এই লক্ষ্যমাত্রা পর্যায়ক্রমে আগামী ২০২০ সাল নাগাদ অর্জন করার কথা বলা হয়েছে।

২০০৮ সালে নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর পর ২০২০ সালের মধ্যে এই শর্ত পূরণের প্রতিশ্রুতি ইসিকে দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত ১৫ শতাংশও নারী সদস্য পূরণ করতে পারেনি বলে জানা গেছে।

ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা জানান, চিঠিতে ২০১৬ সালের অডিট রিপোর্ট রেজিস্টার্ড চার্টার্ড একাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করে ইসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

দলের মহাসচিব বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদনে অডিট কোম্পানি এবং দলের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর বা সিলমোহরসহ নির্ধারিত ছকে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।

পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।

৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আর্থিক বিবরণী জমা দেওয়ার তাগিদ দিলেও প্রধান দলগুলো বরাবরই তা জমা দিতে সময় বাড়াতে বলে। গতবারও অগাস্টে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে দলগুলো।

গেল বছর বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সব ব্যয় মিটিয়ে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা দলীয় তহবিলে যোগ করতে পেরেছে। আর বিএনপি আগেরবারের ধারাবাহিকতায় সোয়া ১৪ লাখ টাকা ঘাটতির কথা জানায় নির্বাচন কমিশনকে।

এ পর্যন্ত ইসিতে ৪২টি দল নিবন্ধিত হলেও আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও গঠনতন্ত্র সংশোধন না করায় ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল রয়েছে।