কম দামি সিগারেট-বিড়ির দাম বেড়েছে

নতুন বাজেটে কমমূল্যের সিগারেট ও বিড়ির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাড়ছে ই-সিগারেট ও এর রিফিলের শুল্ক হার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2017, 11:55 AM
Updated : 1 June 2017, 01:55 PM

যেসব সিগারেটের প্যাকেট ৪৫ টাকা বা তার বেশি সেগুলোর দাম বাড়ছে না।

তবে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ অন্যান্য তামাক পণ্যের ব্যবসায়ীদের আয়ের উপর ২ দশমিক ৫ শতাংশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় বলেন, নিম্ন মূল্যস্তরের সিগারেটের ক্ষেত্রে বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে ‘অসম’ প্রতিযোগিতায় দেশীয় কোম্পানিগুলো ক্রমান্বয়ে তাদের বাজার হারাচ্ছে।

নিম্ন মূল্যস্তরের দেশীয় ব্র্যান্ডের সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকার দাম ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক হার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫২ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন তিনি।

অন্যদিকে কম মূল্যের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সিগারেটে বর্তমানে পৃথক মূল্য না থাকায় এ ধরনের সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকার মূল্য ৩৫ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

৪৫ টাকা ও এর বেশি দামের মধ্যম ও উচ্চ মূল্যস্তরের সিগারেটের দাম নির্ধারণ না করে  বিষয়টি উৎপাদকদের ইচ্ছায় রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।

বিড়ির প্যাকেট ১৫ টাকা

বিড়ির ভয়াবহতা সিগারেটের চেয়েও বেশি মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিড়ি এখন আর বিড়ি নয়। এটি মোটামুটি একটি সস্তা সিগারেট এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

“স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং ধূমপানজনিত চিকিৎসা ব্যয় বিবেচনায় এই খাত টিকিয়ে রাখার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই।”

বর্তমান কর কাঠামো অনুযায়ী সহজলভ্যতার কারণে অনেক ভোক্তা বিড়ির ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে মন্তব্য করে মুহিত বলেন, আগামী তিন অর্থবছরের মধ্যে দেশ থেকে বিড়ি উৎপাদন বন্ধ করে দেব।

প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ট্যারিফ মূল্য বিলুপ্তির পাশাপাশি ফিল্টারবিহীন ও ফিল্টারযুক্ত বিড়িতে সম্পূরক শুল্ক হার আগের মতোই যথাক্রমে ৩০ ও ৩৫ শতাংশ রাখার কথা জানান তিনি।

তবে করসহ ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার প্যাকেটের দাম ১৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্যাকেটের দাম ১৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন মন্ত্রী। বাজেট ঘোষনার দিন ১ জুন থেকেই তা কার্যকরের কথা বলেছেন তিনি।

ই-সিগারেটে  শুল্ক বৃদ্ধি

বিড়ি–সিগারেটের মতো ই-সিগারেটও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মন্তব্য করে এর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

ই-সিগারেট ও তা সেবনে প্রয়োজনীয় রিফিলের আমদানি শুল্ক হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশের প্রস্তাব করেছেন তিনি।

পণ্য দুটির উপর ১০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপেরও প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।