লুৎফর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2017, 01:27 PM
Updated : 28 May 2017, 01:27 PM

রোববার রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম এ মামলা করেন বলে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুদকে জমা দেওয়া লুৎফর রহমান বাদলের সম্পদ বিবরণী অনুযায়ী ৫৯ কোটি ৭০ লাখ ৩৪ হাজার ২৯০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ও দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের কারণে এ মামলা করা হয়।”

বাদলের পক্ষে তার স্ত্রী সোমা আলম রহমান গত বছরের ৮ অগাস্ট সম্পদ বিবরণী জমা দেন।

এরপর অনুসন্ধান শেষে তার বিরুদ্ধে ওইসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ মর্মে মামলা করা হয় বলে প্রণব জানিয়েছেন।

২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর বাদলকে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশের আর্থিক খাতে আলোচিত নাম বাদল। বলা হয়, পুঁজিবাজার থেকেই বিত্তশালী হয়ে ওঠেন তিনি। পুঁজিবাজারে কারসাজির ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে তার নাম এসেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৮ মে ‘শেয়ারবাজার কারসাজির নায়ক’ মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বাদল, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করার বিষয়ে এক ব্যক্তি দুদকে অভিযোগ করেন।

এরপর অভিযোগটি অনুসন্ধান শেষে গত বছরের ১৬ জুলাই বাদলকে সম্পদ বিবরণীর দাখিলের জন্য নোটিস দেয় দুদক। পরে একাধিকার সময় বাড়িয়ে বাদলের পক্ষে তার স্ত্রী বিবরণী দাখিল করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বাদলের ঘোষিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ২৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৯৬ টাকা। দুদকের অনুসন্ধানে তার মোট অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১৩০ কোটি ২৯ লাখ ৫৬ হাজার ৭২৯ টাকার।

এতে তিনি দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য বিবরণীতে গোপন করেছেন।

এছাড়া লুৎফর রহমান বাদল জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৫৯ কোটি ৭০ লাখ ৩৪ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

লুৎফর রহমানের স্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে দুদক জানায়, বনানী ডিওএইচএসে দুইটি ফ্ল্যাট, বারিধারা মডেল টাউনে সাত কাঠা জমির উপর তিনতলা বাড়ি, ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট, মুন্সিগঞ্জে ১৪ কোটি টাকার বেশি মূল্যের একটি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। এছাড়া ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে তার এক কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০১ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।