শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থেকে বের হয়ে টিএসসি মোড় ঘুরে মিছিলটি আবার শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, সু্প্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত ‘লেডি জাস্টিসিয়ার’ ভাস্কর্যটি সরকারের ‘চোখের কাটা’ ছিল।
“হেফাজতে ইসলাম, ওলামা লীগকে মূল ধারায় এনে প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে সরকার।সরকার সম্পূর্ন রাজনৈতিক নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য ভাস্কর্যকে ইস্যু করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
“প্রধান বিচারপতির কোনো ক্ষমতা নেই তা প্রমাণ করতেই সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্যটি সরকার সরিয়ে ফেলেছে।”
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইন মন্ত্রীর দ্বন্দ্ব চলছে উল্লেখ করে ইমরান বলেন, “প্রধান বিচারপতির আজ কথা বলার অধিকার নাই।উনি কথা বললে, বলা হয় উনি বেশি কথা বলেন।
“মানুষের শেষ ভরসার জায়গা হল বিচার বিভাগ।আদালত যখন মানুষের পক্ষে, ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলছেন, তখন সরকার লেগেছে আদালতের পেছনে।তারা চাইছে আদালতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একে কুক্ষিগত করবে।যার প্রকাশ এই জাস্টিসিয়া ভাস্কর্য সরানো।” বলেন গণজাগরণ মঞ্চ মুখপাত্র।
সরকার মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই ও সংগ্রামকে বাধাগ্রস্থ করতে হেফাজত ইস্যুকে সামনে এনেছে বলে অভিযোগ করেন ইমরান।
“সরকার আসলে এখন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। হেফাজতকে সামনে আনা রাজনৈতিক হাতিয়ার মাত্র।
“ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে কবর দিতে পিছপা হচ্ছে না।সরকার চায় না এদেশে গণতন্ত্র থাকুক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকুক।”
হেফাজতসহ অন্য ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর দাবি মেনে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ১০০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক জীবনানন্দ জয়ন্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক লেডি জাস্টিসের আদলে গড়া ভাস্কর্যটি সরানো হয়। কয়েক মাস আগে সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে ভাস্কর্যটি স্থাপনের পর তা অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামে হেফাজতে ইসলাম।
তাদের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমর্থন প্রকাশের পর রোজার তিন দিন আগে ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়া হল