দলটির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার আসাদগেটের বাসায় মারা যান শফিউল আলম প্রধান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
লুৎফর জানান, তাদের সভাপতি গত দুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। এর আগে একাধিকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের এই শরিক নেতার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ছাত্রলীগের মাধ্যমে। ১৯৭৩-৭৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফিউল আলম প্রধান।
সে সময় কারাগারে যেতে হলেও পরে জিয়াউর রহমানের সময়ে মুক্তি পান এবং ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল রমনা গ্রিনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করে তার সভাপতি হন শফিউল আলম প্রধান।
তার মৃত্যুর খবরে ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা সকালে আসাদগেইটের বাসায় জড়ো হতে শুরু করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সেখানে গিয়ে এই রাজনৈতিক সহকর্মীর পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে জাগপা সভাপতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, ২০ দলীয় জোটের এনডিপির গোলাম মূর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ডিএল এর সাইফুদ্দিন আহমেদ মনিসহ জোটের বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরাও জাগপা নেতার বাসায় যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করা প্রধান ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
স্ত্রী রেহানা প্রধান, মেয়ে ব্যারিস্টার তাহমিয়া প্রধান, ছেলে রাশেদ প্রধানকে রেখে গেছেন তিনি।
রোববার জোহরের নামাজের পর আসাদ গেইটে দলের কার্যালয়ের সামনে জাগপা সভাপতির জানাজা হয়। বিকালে ইকবাল রোড জামে মসজিদে আরেক দফা জানাজার পর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার ঢাকার আনার পর বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে বনানীতে শফিউল আলম প্রধানকে দাফন করা হবে।