সাংবাদিকদের এই সংগঠন বলছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ ধরনের সার্কুলার সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে চলাচল ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে, যা মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার অন্তরায়।
ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, “সাংবাদিকদের কেউ যদি কোনো ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত থাকে সেক্ষেত্রে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচলিত বিধান রয়েছে। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বহিঃপ্রচার) স্বাক্ষরিত আদেশটি গোটা সাংবাদিক সমাজের জন্য যেমন অবমাননাকর তেমনি ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ”
বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ‘দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো তৎপরতায় লিপ্ত আছে কি না’ সে বিষয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়ে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে একটি সার্কুলার পাঠানোর খবর বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে আসে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ওই সার্কুলারে কী লেখা হয়েছে তা তিনি দেখবেন।
অবিলম্বে সার্কুলারটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ডিআরইউর বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশে যেখানে প্রচলিত আইন রয়েছে এবং সরকার যেখানে মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে, সেখানে এ ধরনের আদেশের কোনো প্রয়োজন নেই।”