বৃহস্পতিবার দুপুরের পর রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে এঘটনা ঘটে পুলিশের ধানমণ্ডি জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহেল কাফী জানিয়েছেন।
মৃত আফিয়া জাইন চৈতী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
তার সহপাঠীসহ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আফিয়া ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাকে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহেল কাফী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ওই ছাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। এরপর বেশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর করেন।
“গতকাল সন্ধ্যায় আফিয়া ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তখন ডাক্তাররা বলেছিলেন আফিয়ার লিউকেমিয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ীই তাকে চিকিৎসা করা হয়েছে। আজ তারা বলছে, তার ডেঙ্গু হয়েছিল।
“এই ধরণের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যের কারণে শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়েছে, ভুল চিকিৎসার কারণে সে মারা গেছে। এজন্য উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।”
তবে যার অধীনে চৈতী চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলছেন, পরীক্ষা করেই তারা লিউকোমিয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
“তাকে যখন আনা হয়েছিল অবস্থা খুব খারাপ। আইসিইউতে নেওয়ার পর চিকিৎসা পুরোপুরি শুরু করার আগেই তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসায় কোনো ভুল হয়নি।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের একজন বোন ভুল চিকিৎসায় মারা গিয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক ক্ষোভের কারণে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছিল।
“বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে- এটাই আমাদের দাবি।”
আব্দুল্লাহেল কাফী বলেন, “কেউ যদি অভিযোগ এনে মামলা করতে চান, আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। বর্তমানে হাসপাতাল এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
পরিস্থিতি শান্ত হলেও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।