হোটেল রেইন ট্রিতে অভিযান, মদ উদ্ধার

দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত বনানীর হোটেল রেইন ট্রিতে অভিযান চালাচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

অপরাধ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2017, 08:22 AM
Updated : 14 May 2017, 01:56 PM

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হোটেলের একটি কক্ষে বেশ কয়েক বোতল মদ পাওয়া গেছে। অভিযান এখনও চলছে।”

গত ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীর এই হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের অভিযোগে এক সপ্তাহ আগে মামলা হয় বনানী থানায়।

ওই মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদ দেশের শীর্ষস্থানীয় জুয়েলারি ব্র্যান্ড আপন জুয়েলার্সের মালিক। অন্য আসামিরা হলেন- সাফাতের দুই বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ এবং সাফাতের দেহরক্ষী ও গাড়িচালক।

রোববার বেলা ১১টার দিকে ঢাকায় আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুমে একসঙ্গে অভিযান চালানোর পরপরই বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযানের খবর আসে।   

তরুণীদের অভিযোগ অনুযায়ী, এই রেইনট্রি হোটেলেই ঘটে ধর্ষণের ঘটনা

মইনুল খান বলেন, “এই হোটেলের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা জানা প্রয়োজন। এছাড়া সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে এই হোটেলটি আলোচনায় এসেছে। সেই সূত্রে অভিযান চলছে। প্রতিটি কক্ষেই তল্লাশি করা হচ্ছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।”

বনানীর চার তারকা এই হোটেলের অন্যতম মালিক মাহির হারুন ঝালকাঠি-১ আসনের সাংসদ আওয়ামী লীগ নেতা বজলুল হক হারুনের ছোট ছেলে।

মাহিরের বন্ধু পরিচয় দিয়েই সাফাত সেদিন ওই হোটেলের কক্ষ ভাড়া করেছিলেন বলে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন। 

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, সাফাতের জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত দিয়ে এনে দুই তরুণীকে সেদিন ধর্ষণ করা হয় এবং বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় তারা মারধরের শিকার হন।

গত বৃহস্পতিবার সাফাত ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।