শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ এই দাবি জানান।
‘ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’ দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের একজন পিতা হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল, পুত্রের অপকর্মের জন্য কিন্তু তিনি তা না করে প্রকারান্তরে তার এই ধর্ষক পুত্রকে সমর্থন করেছেন। তার কোটি কোটি টাকা এই ছেলেকে রক্ষা করার জন্য অর্থাৎ ধর্ষককে সহায়তা করার জন্য তিনি ব্যবহার করছেন।
“আমরা মনে করি, এই মামলার চূড়ান্ত তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এই আপন জুয়েলার্সের মালিককে পুলিশি হেফাজতে নিতে হবে, যাতে সে কোনো অবস্থাতেই এই টাকা অন্যায় কাজে ব্যবহার করতে না পারে।”
গত ৬ মে বনানী থানায় ওই ছাত্রীরা অভিযোগ করার পর ছেলের পক্ষে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন দিলদার।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সব ধর্ষণের বিচার দাবি করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে, কিন্তু কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করল না, এটা আমাদের হতাশাগ্রস্ত করে।
“আত্মহত্যাকারী হযরত আলী, যার শিশুকন্যা ধর্ষিত হয়েছিল। তিনি মামলা করতে গিয়েছিলেন পুলিশ মামলা নেয়নি। যারা মামলা নেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটি আমরা দেখতে চাই।”
সমাবেশে জাসদ একাংশের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, “যারা বনানীর এই ধর্ষণ ঘটনাকে এদিক সেদিক করার চেষ্টা করছেন তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দেয়ার জন্য আমাদের সকলকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
“এই ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিক যে বক্তব্য প্রদান করেছেন, তাতে স্পষ্টতই তিনি ধর্ষকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাই আপন জুয়েলার্সের মালিককেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোর শাখার সভাপতি সারোয়ার আলম খান দুলু, অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি সহিদুল ইসলাম সাচ্চু, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস ও বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী ফকির আলমগীর বক্তব্য দেন।
সমাবেশ শেষে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৮ মে বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা।