আলামত পরীক্ষার জন্য বনানী থানার পরিদর্শক আব্দুল মতিনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন।
এই আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মো. মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলা দায়েরের সময় ধর্ষণের আলামত হিসেবে এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজ জব্দ করা হয়েছে। তাতে কোনো ধরনের পুরুষের বীর্য আছে কি না, তা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
গত ৬ মে দায়ের করা এই মামলায় বলা হয়েছে, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে।
মামলার পর বনানী থানার পরিদর্শক মতিন এর তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আদালতে আবেদন করলেও পরে তদন্তকারী বদলানো হয়। এখন তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
পরিদর্শক মতিন বলেন, হোটেল রেইনট্রি হোটেল পরিদর্শন করে কয়েকজনের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছেন তারা।
ঘটনার ৩৭ দিন পর মামলা হওয়ায় অনেক সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকার পরও আলামত ও সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করছে পুলিশ।
মামলার পাঁচ আসামিদের কাউকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামিরা প্রভাবশালী বলে পুলিশ তাদের ছাড় দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে। অন্য আসামিরা হলেন তার দুই বন্ধু নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ এবং গাড়িচালক ও দেহরক্ষী।