সিটিং সার্ভিস: বাস্তবসম্মত সমাধানের খোঁজে কাদের

চাপের কাছে নতি স্বীকার নয় বরং যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজতেই সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2017, 10:27 AM
Updated : 3 May 2017, 10:27 AM

বুধবার মেট্রোরেল প্রকল্পের এক চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাস মালিকদের চাপের মুখে সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কিনা।

জবাবে কাদের বলেন, “আমি কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করিনি।

“এখন সমস্যাটা হচ্ছে যখন একটা কাজ হয়, অনেকে গাড়ী নামায় না তখন আপনারাই বলেন গাড়ি নেই, জনদূর্ভোগ হচ্ছে, আবার আমরা যখন এ ব্যাপারে প্রেসার কমিয়ে দেই তখন দেখা যায় আপনারা বলছেন রাস্তায় পরিবহনে নৈরাজ্য হচ্ছে। দুটোই কিন্তু শুনতে হচ্ছে।”

বিআরটিএর দেওয়া রুট পারমিটে সিটিং বাস চালানোর বৈধতা না থাকলেও রাজধানীতে বহু দিন ধরেই চলছে এই ধরনের বাস। এই বাসের ভাড়া বেশি রাখা হলেও সেবা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ বরাবরই ছিল।

বাস মালিকরা গত ১৬ এপ্রিল থেকে সিটিং সার্ভিসের বাস চালানো বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত এর বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।

এতে অনেক বাস মালিক সড়কে গাড়ি না নামালে দেখা দেয় পরিবহন সঙ্কট। ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের বচসার মধ্যে বাস সঙ্কটের দুর্ভোগ চলে কয়েকদিন।

এ অবস্থায় ১৯ এপ্রিল বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিআরটিএ।

সে সময় থেকে ১৫ দিন সিটিং সার্ভিস চলতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। তবে এসব বাসে সরকার নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না বলে জানিয়েছিল বিআরটিএ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছি, স্টেক হোল্ডারদের সাথে কথা হচ্ছে, কোনো প্রকার চাপের কাছে নতি স্বীকার নয়, সাংবাদিক প্রতিনিধিও আলোচনার এ কমিটিতে রয়েছে, সাংবাদিকের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কিছুদিন স্থগিত রেখে একটি বিষদ আলোচনা করে একটি যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত সমাধান যাতে হয় সে ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি।”

যাত্রীর তুলনায় পরিবহন সঙ্কটের বিষয়টি কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাস্তবতা হচ্ছে রাস্তায় বিকল্প ব্যবস্থা করার আগে কিছু কিছু গাড়ি জেনেশুনে ছেড়ে দিতে হয় নাহলে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে, এখন আমাদের যে গণপরিবহন আমাদের যাত্রীর তুলনায় অনেক কম।”

নতুন গাড়ি আমদানির চেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে কাদের বলেন, “সিটি করপোরেশন চার হাজার নতুন বাস আমদানিতে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করেছে। এদিকে বিআরটিসির জন্য ইন্ডিয়া লাইন অব ক্রেডিটে ৬০০ বাস পাইপ লাইনে আছে।”