পরিবেশ দূষণকারীর ওপর ‘ইকো ট্যাক্স’ আরোপের সুপারিশ

পরিবেশ দূষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এক শতাংশ হারে ‘ইকো ট্যাক্স’ আরোপের সুপারিশ করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2017, 01:35 PM
Updated : 26 April 2017, 01:36 PM

এ বিষয়ে কমিটির পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৩৩তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে পরে কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, “কমিটি দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর এক শতাংশ ইকো ট্যাক্স আরোপের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হবে।

“দূষণের দায়ে কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ট্যাক্স আরোপ হবে তা অর্থ মন্ত্রণালয় ঠিক করে দেবে।কমিটি এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পলিথিনের মোড়ক ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান ও দূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ির কথা উদাহরণ হিসেবে বলেছে।”

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, “নির্দিষ্ট মাইক্রোনের পলিথিনের শপিং ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ। সব পলিথিন নিষিদ্ধ নয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপন্ন পণ্যে পলিথিনের মোড়ক ব্যবহার করছে। এসব পলিথিন পরিবেশকে দূষিত করছে। পলিথিন রিসাইকেল না হলে তা পঁচতে ১০০-৩০০ বছর সময় লাগে।”

ইকো ট্যাক্স আরোপ করলে ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলোর পলিথিনের মোড়ক ব্যবহারের প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।

ইকোট্যাক্স আরোপ হলে তা ভোক্তার ওপর প্রভাব পড়বে কীনা জানতে চাইলে সাবেক এই পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, “এগুলো কোনোভাবেই জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সমীচীন হবে না। তারা লভ্যাংশ থেকে এই ট্যাক্স দেবে।”

দূষণকারী গাড়ির ওপর রোড ট্যাক্স আদায়কালে এই ইকো ট্যাক্স আদায় করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ হলেও এটা যথেচ্ছ ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দিয়েছি এগুলো সঠিকভাবে মনিটর করতে।”

এদিকে সংসদীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল আগামী মাসে বন্যা কবলিত হাওর এলাকা ও সিলেট অঞ্চলের অবৈধ পাথর কোয়ারি এলাকা পরিদর্শনে যাবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে আগামী অর্থবছরে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী, টিপু সুলতান এবং মেরিনা রহমান অংশ নেন।