শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে সংগঠন দুটির নেতারা এ দাবি তুলে করেন।
এপ্রিলের শুরুতে উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও অতিবৃষ্টিতে দুর্বল বাঁধ ভেঙে বন্যার পাশাপাশি সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলের সমস্ত বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়।
হাওরাঞ্চলের মানুষদের দুর্দশার প্রসঙ্গ টেনে সমাবেশ থেকে ওইসব স্থানকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানান বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন।
ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা বলেন, “হাওরাঞ্চলকে দুর্গত এলাকার দাবি জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা পরিস্থিতিকে আমলে নিচ্ছেন না; যার ফলে শুধু ধানই নয়, মাছ, গরুসহ পশু পাখিও বিপন্ন হতে চলেছে।”
সমিতির নেতারা হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত সব কৃষক ও খেতমজুরদের ক্ষতিপূরণ, দুর্গত এলাকায় হাওর ইজারা বাতিল করে জনসাধারণের মাছ ধরে বেঁচে থাকার জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা, রিলিফ ও রেশনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়াসহ অবিলম্বে গবাদিপশুর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।
সমাবেশে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি মোর্শেদ আলী, বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতির সভাপতি সোহেল আহমদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।