বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন মুক্তিযোদ্ধা গাউচ মিয়া ও ফারুক আহমেদ।
গাউচ মিয়া বলেন, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও কিছু অসাধু মুক্তিযোদ্ধার সহায়তায় ২০০৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত করে রুস্তম আলী।
“তিনবারের মতো একই এলাকার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া রুস্তম আলী স্বাধীনতার এত বছর পর কেন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার লোভ সামলাতে পারলেন না।”
জাতীয় পার্টি, বিএনপি থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর এখন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী উপজেলা চেয়ারম্যানও ছিলেন।
গাউচ বলেন, “তার কাছে আমার প্রশ্ন হল, তিনি কোথায়-কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ করলেন? তিনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? তার সেক্টরের কমান্ডার কে? তিনি প্রশিক্ষণই বা নিয়েছেন কোথায়?”
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক বলেন, “রুস্তম আলীর বাড়ির পাশের সাব-সেক্টর কমান্ডাররা সরদার এম এ মতিন বলেছেন এই নামের কেউ তার ক্যাম্পে কোনোদিন ছিল না।
“আমরা রুস্তম আলীসহ ভুয়া চার মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই করে দেখার নির্দেশ আসে, কিন্তু আমাদের ভয় ক্ষমতাবান রুস্তম আলীর কিছুই হবে না।”
এ বিষয়ে যোগাযযোগ করা হলে রুস্তম আলী ফরাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্বাচনে আমারে হারাতে না পেরে রাজাকারেরা এসব অভিযোগ তুলছে, আমি মুক্তিযোদ্ধা কি না সেটা বলবে যাচাই-বাছাই কমিটি।”
এত দিন পর তালিকাভুক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “এতদিন আমি নাম দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি নাই, এর মানে এই না যে আমি যুদ্ধ করি নাই।”
এক যুগেরও বেশি সময় এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকার কারণে প্রতিপক্ষ প্রতিহিংসা থেকে এসব অভিযোগ তুলছে বলে দাবি করেন রুস্তম আলী।