উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতায় হাসিনার নেতৃত্ব চান ভুটানের সাবেক রাজা

উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংয়ে ওয়ানচুক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক থিম্পু থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2017, 11:59 AM
Updated : 20 April 2017, 11:59 AM

৬১ বছর বয়সী ওয়ানচুক ভুটানের বর্তমান রাজা জিগমে খেসার নামগিলের বাবা।

বুধবার সন্ধ্যায় হোটেল লো মেরিডিয়ানে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন সাবেক রাজা।

সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।  

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “উনি (চতুর্থ রাজা) বলেছেন, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা; বিদ্যুৎ, কানেকটিভি, বাণিজ্য, পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রই হোক, প্রধানমন্ত্রীর যেন নেতৃত্ব থাকে। তাহলে এ অঞ্চলের জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।”

ভুটানের রাজ পরিবারের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলোচনায় শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দুটি দেশের মধ্যে একটি ভুটান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সময় তরুণ বয়সে বাংলাদেশ সফর করেন ওয়ানচুক। সাক্ষাতে সে সময়ের কিছু স্মৃতিও তুলে ধরেন তিনি।

শহীদুল হক বলেন, “১৭ বছর বয়সে এ রাজা বাংলাদেশে এসেছিলেন তার বাবার সঙ্গে। তখনকার স্মৃতিচারণ করেন। তখন বঙ্গবন্ধু কিভাবে তাকে স্নেহভরে গ্রহণ করেছেন সেটাও উল্লেখ করেন।”

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ওয়ানচুকের একটি ছবি সাবেক রাজাকে উপহার দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “চতুর্থ রাজা বঙ্গবন্ধুকে ভিশনারি, উঁচুমানের ও অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

“বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক পর্যায়ে শান্তি, সমৃদ্ধি অর্জনে অবদান এবং সকল দেশের সঙ্গে সমান বন্ধুত্ব রেখে যাওয়ার যে প্রজ্ঞা এটাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন চতুর্থ রাজা।”

বুধবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা থিম্পুর রাজ প্রাসাদে যান এবং সেখানে দুই পরিবারের মধ্যে আন্তরিক পরিবেশে আলাপ হয়।

থিম্পুতে শেখ হাসিনার তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটানের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক হয়; যার মধ্যে দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও নৌপথ ব্যবহারের বিষয়টি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবনের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন এবং সেখানে অটিজম বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।