‘মার্ক এয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে তিনি কয়েক বছর ধরে এসব টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাজধানীর একাধিক থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হলেও কোনো ফল আসেনি বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েকজন।
হাসনাত মাসুমের প্রতারণার শিকার ১২ জন বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার চান।
তাদের একজন আনিসুর রহমান বলেন, আবুল হাসনাত মাসুম ঢাকার যাত্রাবাড়ীর গেন্ডারিয়া এলাকার ধলপুরের আবুল ফারাহের ছেলে।
“মার্ক এয়ার ট্রাভেলস দেখিয়ে সে আমার দুই ভাইকে সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট ছয় লাখ টাকা নিয়েছিল। এর আগে ব্যবসার কথা বলে আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার টাকাসহ মোট ১২ লাখ ১৬ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।”
কম খরচে হজে নেওয়া এবং সৌদি আরবে বেশি বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মাসুম অনেকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরেক ভুক্তভোগী ইসহাক মিয়া বলেন, হাসনাত মাসুম হজে পাঠানোর কথা বলে ২০১৫ সালে তার কাছ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন।
“পরে তার কথা মতো বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে বিমানবন্দরে এসে তাকে আর পাইনি। ওই সময় দুই দিন বিমানবন্দরে থেকে বাড়ি ফিরে যাই, আমার আর হজ করা হয়নি, টাকাও ফেরত পাইনি।”
টাঙ্গাইলের সখীপুরের মনিরুজ্জামান মাস্টার বলেন, “২০১৫ সালে হজে যেতে মাসুমকে টাকা দিই, কিন্তু আমার নামে কোনো নিবন্ধনই করেনি। ভুয়া হজ নিবন্ধন দেখিয়ে ঢাকা এনে আমাকে হয়রানি করা হয়। পরবর্তীতে নতুন করে টাকা জোগাড় করে হজ করেছি। কিন্তু মাসুম সেই টাকা আর ফেরত দেয়নি।”
আনিসুর রহমান বলেন, প্রতারণার অভিযোগে মাসুমের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান, চকবাজার ও যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে।
এছাড়া সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানোর কথা বলে মাসুম ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সুপার ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য বরাবর অভিযোগ করেছেন আলফাজ উদ্দিন নামে একজন।