সাপের বিষ বিক্রির সঙ্গে জড়িতরা হলেন- আবু হানিফ, আফছার আলী, নজরুল ইসলাম, মুক্তার হোসেন ও রহিচ উদ্দিন।
জাল নোট তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তাররা হলেন- বুলবুল আহম্মদ, খাইরুল ইসলাম, শামছুল হক, শাহীন আক্তার ও আলমগীর হোসেন।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন,সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান,মুদ্রা জালিয়াত চক্রটি মোহাম্মদপুর এলাকায় কারখানা গড়ে তুলেছিল। তাদের কাছ থেকে ‘বিপুল পরিমাণ’ জাল টাকার নোট এবং জালিয়াতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্য চক্রটি সাপের বিষ বিক্রির কথা বলে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল জানিয়ে নাজমুল আলম বলেন,তাদের কাছ থেকে ১২ পাউন্ড তরল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, সাপের বিষ বিক্রির চক্রটির কাছ থেকে একটি ফলের বাক্সে ছয়টি স্বচ্ছ কাঁচের জারের ভিতর দুইটি কৌটায় বাদামী রংয়ের তরল পদার্থ, দুইটি কৌটায় সাদা পাউডার এবং আরও দুইটি কৌটায় নীল পাউডারের মতো পদার্থ পাওয়া গেছে।
প্রতিটি কৌটার গায়ে হলুদ কাগজে কালো রংয়ে ইংরেজি হরফে লেখা রয়েছে ‘রেড ড্রাগন কোম্পানি মেইড ইন ফ্রান্স কোড নং-৮০৯৭৫’ এবং ইংরেজিতে ‘কোবরা’ ও ‘স্নেক পয়জন অফ ফ্রান্স, কেয়ারফুলি হ্যান্ডলি ‘।
পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে তারা সাপের বিষ চোরাই পথে আমদানী করে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিতে সরবরাহ করে থাকে।
অন্যদিকে আদাবর থানার মোহাম্মদীয়া হাউজিং এলাকায় কারখানা গড়ে তোলা মুদ্রা জালিয়াত চক্রটির কাছ থেকে ভারতীয় জাল রুপি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম এক ও দুই হাজার রুপি মানের নোট এবং পাঁচ রুপি নোটের মোট ১৫ লাখ ৩৪ হাজার জাল রুপি উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তাররা পাকিস্তানি নাগরিকদের সঙ্গে যোগসাজশে জাল ভারতীয় রুপির ব্যবসা করে আসছিল। এ জাল রুপি তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ এবং যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে বিক্রি করত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, মো. সাজ্জাদুর রহমান, মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।