এদের মধ্যে যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে তাদের শুধু পেনশন সুবিধা (যতদিন চাকরিতে ছিল ততদিনের) দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।
আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন ও প্রতিকার চাকমা।
ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যারা পুনর্বহাল হবেন তারা চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে বেতন পাবেন।”
১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়, যা পরে বিদ্রোহের রূপ নিয়েছিল। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এ ঘটনার পর কিছু সংখ্যক আনসার সদস্য পালিয়ে যায়।
পরে মোট ২ হাজার ৬৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে কিছু কর্মকর্তা চাকরিতে পুনর্বহাল হন। ২ হাজার ৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পৃথক সাতটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। বিচারে যারা খালাস পান তারা চাকরি ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করলেও তাতে ফল হয়নি।
এরপর রুহুল আমিন, মোজাম্মেল হকসহ ২৮৯ জন চাকরি পুর্নবহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন।
২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর আনসার সদস্যদের চাকরিচ্যুতি কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় হল।