দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আসার পর ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এই গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, “কওমি মাদ্রাসার বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ও দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি) এর সমমান প্রদান করা হল।”
দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের সমমান দেওয়ার লক্ষ্যে কওমি মাদ্রাসা বোর্ডগুলো কর্তৃক গঠিত মান বাস্তবায়ন কমিটির উপর ‘আস্থাভাজনপূর্বক’ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছে সরকার।
আদেশে বলা হয়েছে, “এ কমিটি সনদ বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বলে বিচেচিত হবে। এ কমিটি দ্বারা নিবন্ধিত মাদ্রাসাগুলো দাওরায়ে হাদিসের সনদ মাস্টার্সের সমান বিবেচিত হবে।”
এই কমিটির অধীনে ও তত্ত্বাবধানে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা হবে বলে সরকারি আদেশে বলা হয়েছে।
তবে কমিটি দাওরায়ে হাদিসের সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল ও সনদ তৈরিসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক উপকমিটি গঠন করতে পারবে।
এই কমিটিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে উল্লিখিত বিষয়ে অবহিত করার নির্দেশনা দিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, “এ কমিটি দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে।”
এছাড়া বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) পাঁচজন, গোপালগঞ্জের বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার দুজন, চট্টগ্রামের আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়ার দুজন, সিলেটের আযাদ দ্বীনি এদারা বোর্ডের দুজন, উত্তরবঙ্গের তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়ার দুজন এবং জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দুজনকে কমিটিতে সদস্য করা হবে।
এসব সদস্য পদে পদাধিকারবলে ওইসব সংগঠনের মহাসচিব অথবা বোর্ড মনোনয়ন দেবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে।
কমিটির চেয়ারম্যান ইচ্ছা করলে যে কোনো সংখ্যক সদস্যকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। তবে আদেশে বলা হয়েছে, এই সংখ্যা ১৫ জনের বেশি হবে না।