তারেকের শাশুড়িকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2017, 07:28 AM
Updated : 12 April 2017, 11:58 AM

ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা বুধবার এ মামলায় দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ইকবাল মান্দ বানুকে গ্রেপ্তার করা গেল কি-না সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ মে দিন ঠিক করে দিয়েছেন বিচারক।

“এ মামলায় সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু কখনো আদালতে আসেননি, আত্মসমর্পণ করে জামিনও নেননি।”

ইকবাল মান্দ বানু সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের স্ত্রী। তাদের মেয়ে জোবাইদা খানের সঙ্গে ১৯৯৩ সালে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিয়ে হয়।

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ২৯ মে তারেক রহমানের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দেয় দুদক। এরপর ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় দায়ের করা ওই মামলায় তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকেও আসামি করা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জনে তারেক রহমানকে সহায়তা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

ওই মামলার অনুসন্ধান চলাকালে ইকবাল মান্দ বানুর নামে-বেনামে ‘বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য পেয়ে’ তার সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি আলাদা নোটিস পাঠায় দুদক।

এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী না দেওয়ায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক আর কে মজুমদার ঢাকার রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সাত্তার সরকার তদন্ত শেষে গতবছর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

এর বিরুদ্ধে রিট আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন তারেকের শাশুড়ি। কিন্তু হাই কোর্ট তা খারিজ করে দিলে মামলার কার্যক্রম চলার বাধা কাটে।  

অপরাধ প্রমাণিত হলে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী এ মামলায় তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড হতে পারে।