মঙ্গলবার ঢাকায় খসড়া জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি চূড়ান্তকরণের আবশ্যকীয়তা শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন বলে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এই নীতি দুটি প্রণয়নে সময় বেশি লাগলেও এগুলো অতি দ্রুতই পাস করা হবে এবং তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ এককভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বিধায় সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশে সমন্বিত ও পরিকল্পিত উপায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা শিরোনামে দুটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতার কারণে খসড়া পর্যায়ে থাকা নীতিমালা দুটি চূড়ান্ত হয়নি।
বৈঠকে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তামাক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একটি সমন্বিত কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, যেখানে সব মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করবে।”
জাতীয় অধ্যাপক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার আব্দুল মালিকসহ তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।