নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ সব নির্বাচন পর্যবেক্ষকের

বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই মাস আগে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2017, 07:33 PM
Updated : 24 March 2017, 07:33 PM

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০১১ সালে ১২০টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। পাঁচ বছর নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে।পরবর্তীতে কমিশন তা আরও একবছর বাড়ানোর পর মেয়াদ শেষ হয় গত জানুয়ারিতে।

কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন আসার পর কয়েকটি উপজেলা ও পৌরসভার ভোট শেষ হয় ৬ মার্চ। জাতীয় সংসদের একটি উপ-নির্বাচনও হয়েছে, সামনে রয়েছে আরেকটি উপ-নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটিকরপোরেশন নির্বাচন।

উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচন এবং গত ২২ মার্চ গাইবান্ধা-১ আসনের উপ-নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক ছিল না।

আগামী ৩০ মার্চ সুনামগঞ্জ-২আসনে উপ-নির্বাচন এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভোট রয়েছে। এই ভোট পর্যবেক্ষণে এখনও কেউ আবেদন করেনি বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন না হওয়ায় উপ-নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আমরা আবেদন করিনি। এ ধরনের উপ-নির্বাচন নিয়ে আমাদের আগ্রহও কম। তবে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণকরব আমরা।”

নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, নিবন্ধিত না থাকায় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হবে না।

“সেক্ষেত্রে নতুন করে নিবন্ধন না করা পর্যন্ত সংস্থাগুলোর মেয়াদ বাড়ানো, নীতিমালা সংশোধন ও নতুন নিবন্ধন কার্যক্রম নেওয়ার জন্য ইসির কাছে কার্যপত্র উপস্থাপন করা হবে।”

এই বিষয়ে ২৮ মার্চ নির্বাচন কমিশনে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চালু হয়। ২০০৮ সালে ১৩৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। তখন নিবন্ধনের মেয়াদ ছিল একবছর।পরে এ মেয়াদ পাঁচ বছর করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।