চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু বিষয়ক আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস বুধবার তাদের সাতজনের আবেদনের উপর শুনানি নিয়েছেন। বাকি আবেদনের শুনানি নিতে আগামী ২৮ মার্চ দিন রেখেছেন তিনি।
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরের কিছুক্ষণ আগে উদ্ধার ওই শিশু নাম পেয়েছে ‘একুশ’। তার অভিভাবকত্ব পেতে আদালতে ১৪টি আবেদন পড়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি এম এ ফয়েজ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিচারক শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করার পাশাপাশি এ সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন।
“আদালত বলেছে, যেহেতু শিশুটিকে একজন মা প্রতিপালন করবেন তাই আগ্রহী দম্পত্তিদের মধ্যে স্ত্রীর পক্ষ থেকে আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি আবেদনে স্বামীকে সঙ্গে রাখতে হবে।”
আগে জমা পড়া আবেদনগুলোর মধ্যে দুটি আবেদন করেন স্বামী-স্ত্রী যৌথভাবে। বাকিগুলোর মধ্যে স্বামীরা করেছেন পাঁচটি এবং স্ত্রীদের পক্ষে সাতটি আবেদন এসেছে।
আদালতের বুধবারের নির্দেশের পর সবাইকে নতুন করে আবেদনের কাগজপত্র জমা দিতে হবে বলে অতিরিক্ত পিপি ফয়েজ জানান।
এদিন আদালতে গৃহিণী জেসমিন আক্তার, শিক্ষিকা লুবনা ইয়াসমিন, চিকিৎসক দম্পতি শাকিলা আক্তার ও জাকির ইসলাম, ইয়াসমিন আক্তার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী এরশাদ মামুন, শহীদুল্লাহ ও মো. উল্লাহর করা আবেদনের উপর শুনানি হয়।
এম এ ফয়েজ বলেন, “যতদিন পর্যন্ত শিশুটির অভিভাবকত্বের বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না ততদিন শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখাশোনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর আকবর শাহ থানার কর্নেল হাটের প্রশান্তি আবাসিক এলাকায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পিছনে আবর্জনার স্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয় নবজাতকটিকে।
কয়েকজন যুবক শিশুটিকে উদ্ধারের পর পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আকবর শাহ থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ওই ছেলে শিশুর নাম দেন ‘একুশ’।
বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আছে শিশুটি। সেখানে চিকিৎসক, সেবিকা ও অন্য নবজাতকের মায়েরা শিশুটির পরিচর্যা করছেন।