আদালত অবমাননার দায়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করে।
এই ১১ জন হলেন- পরিবেশ ও বন সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ সচিব, নৌপরিবহন সচিব, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ও সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ও সাইদ আহমেদ কবির।
পরে সাইদ আহমেদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৭ সালে কোস্টাল অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ড বায়োডারভার্সিটি ম্যানেজম্যান্ট প্রোজেক্টের (সিডব্লিউবিএমপি) এক জরিপে দেখা যায়, সেন্ট মার্টিনসে ৭৪টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। ওই জরিপের প্রেক্ষিতে এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে বেলার পক্ষ থেকে ২০০৯ সালে হাই কোর্টে একটি রিট করা হয়।
সেই রিটের শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২৪ অক্টেবার আদালত রায় দেয়। রায়ে সেন্ট মার্টিনসের পরিবেশগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ছাড়পত্রহীন স্থাপনা অপসারণ করতে বলা হয়। সেইসঙ্গে ছাড়পত্রহীন নতুন কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করা ও বিরল প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়ারও নির্দেশ আসে হাই কোর্টের ওই রায়ে।
আদালতের এ নির্দেশনা থাকার পরও সেন্ট মার্টিনসে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকায় থাকা হোটেল, মোটেলসহ অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি, বরং এসব স্থাপনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে বেলার পক্ষ থেকে দুই দিন আগে হাই কোর্টে আদালত অবমাননার এই আবেদন করা হয় বলে আইনজীবী সাইদ আহমেদ কবির জানান।