জঙ্গি অনুপ্রবেশ: দিল্লিকে সতর্ক করেছে ঢাকা, খবর ভারতীয় পত্রিকায় 

গতবছর সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের ভারতে যাওয়ার প্রবণতা ‘তিন গুণ বেড়েছে’ বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সতর্ক করার খবর এসেছে ভারতীয় একটি পত্রিকায়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2017, 04:55 AM
Updated : 21 March 2017, 12:40 PM

টাইমস অব ইন্ডিয়া মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।   

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম (হুজি) ও জামাআতুল মুজাহিদিনি বাংলাদেশের (জেএমবি) মত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় প্রবেশের প্রবণতা তিনগুণ বেড়েছে বলে ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দিল্লিকে। 

তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০১৪ সালের অক্টোবরে বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় জেএমবির সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা- এনআইএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করছেন। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে দুই দেশে বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

বর্ধমান বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি নিহত হয়। এ মামলার অভিযোগপত্রেও জেএমবি সদস্যদের জড়িত থাকার কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। 

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ওই সময়ে হুজি ও জেএমবির আনুমানিক ২০১০ জন ভারতের তিনটি রাজ্যে প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে ৭২০ জন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ওই সংখ্যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কর্মকর্তাদের সন্দেহ থাকলেও তারা বিষয়টি ‘উদ্বেগজনক’ বলেছেন। তাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ৮০০ এবং পরের বছর ৬৫৯ জন জঙ্গি ভারতে প্রেবেশ করেছে।  

পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, “আমরা তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টি যাচাই করে দেখার চেষ্টা করছি।”

আসাম পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহা পরিচালক পল্লব ভট্টাচার্য এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, তারাও গত ছয় মাসে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির প্রবণতা দেখতে পেয়েছেন। আসাম পুলিশ ইতোমধ্যে ৫৪ জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তারও করেছে। 

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা ইফতাদুর রহমান’ গত ১২ জানুয়ারি ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশের পর আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে তার সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে গোয়েন্দাদের বিশ্বাস।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ভারত প্রতিবেদক বলেন, অতীতে সিলেট ও কুমিল্লা সীমান্ত হয়ে জঙ্গিদের ভারতে প্রবেশের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। পরে তারা পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অন্যান্য স্থানে সরে যায় বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।   

আসামে বাংলাভাষী অঞ্চলে একটি চক্রের মাধ্যমে তারা ভারতীয় পরিচয়পত্র, এমনকি জাল পাসপোর্টও তৈরি করিয়ে নেয়।