সোমবার এ মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান রায়ের এ দিন ঠিক করে দেন।
আফতাব বহুমুখী ফার্মসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রহিম খান শাহরিয়ারের ছেলে তাহমিদ রাজধানীর ভাটারা থানার এ মামলায় জামিনে আছেন।
গতবছর ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ নিহত নিহত হওয়ার পর সকালে সেখান থেকে উদ্ধার ১৩ জনের মধ্যে ছিলেন তাহমিদ ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজাউল করিম।
এ ঘটনায় উদ্ধারদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ সবাইকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও সে সময় তাহমিদ ও হাসনাত বাসায় ফেরেননি বলে তাদের পরিবার জানায়। এরপর গত ৩ অগাস্ট এই দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
জঙ্গিদের সঙ্গে তাহমিদের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় হলেও তাহমিদকে ১৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানায়, গুলশান হামলার ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়নি।
কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ গুলশান হামলার একদিন আগে দেশে ফেরেন। ওই দিন ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের ভাষ্য।
সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৬ ধারায় পুলিশকে অসহযোগিতা ও তথ্য দিতে অস্বীকৃতির ‘নন প্রসিকিউশন’ অভিযোগ আনা হয় তাহমিদের বিরুদ্ধে।
ওই হামলা সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য পুলিশ বারবার নোটিস দিলেও যোগাযোগ না করায় তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়।
তাহমিদ এ মামলায় খালাস পাবেন বলে আশা করছেন তার আইনজীবী মতিউর রহমান।
যুক্তিতর্কের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রসিকিউশন পক্ষ মামলা পরিচালনা করতে ব্যার্থ হয়েছে। তারা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এজন্য আমাদের আসামি খালাস পাবেন বলে আমরা আশা করছি।”
এর আগে গত ১৪ মার্চ আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে সুবিচার চান তাহমিদ।