চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে খালিদ মাহমুদ মিঠুকে স্মরণ

অকালপ্রয়াত চিত্রশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠুর স্মরণে ধানমন্ডির গ্যালারি টোয়েন্টিওয়ানে শুরু হয়েছে ‘অ্যামিটি’ শিরোনামের যৌথ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2017, 05:20 PM
Updated : 19 March 2017, 05:20 PM

রোববার বিকালে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুল হক ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভিন মাহমুদ।

আয়োজকরা জানান, ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডে অ্যামিটি বা বন্ধুত্ব শিরোনামের প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় ঢাকায় বসেই ওই প্রদর্শনী আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন  খালিদ মাহমুদ মিঠু।  প্রদর্শনীটি ছিল বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের শিল্পীদের প্রথম যৌথ প্রযোজনা, যার ব্যবস্থাপনায় ছিল  থাইল্যান্ডে  বাংলাদেশের দূতাবাস  ও ব্যাংকক অব লিভিং আর্টস ।

মিঠু এ বছরও এমন একটি আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই গত বছর ৭ মার্চ কর্মস্থল থেকে রিকশায় বাসায় ফেরার সময় একটি গাছ ভেঙে পড়ে মারা যান তিনি।

দেশের নয়জন শিল্পীর রং-তুলির আঁচড়মাখা চিত্রকর্মে সাজানো এই প্রদর্শনী এখন হচ্ছে ঢাকায়। 

প্রদর্শনীতে খালিদ মাহমুদ মিঠুর সঙ্গে অধ্যাপক ফরিদা জামান,  আফরোজা জামিল কনকা, শামীম সুব্রানা, সামিনা নাফিস, কনক চাঁপা চাকমা, কামরুজ্জামান স্বাধীন, সালমা জাকিয়া বৃষ্টি ও ফারজানা রিপার মোট ৩৪টি চিত্রকর্ম উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১ এপ্রিল  পর্যন্ত,  প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচিত হয়ে ওঠেন চলচ্চিত্র নির্মাণে এসে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে ২০১০ সালে ‘গহীনে শব্দ’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। ২০১০ সালের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় সিনেমাটি। তিনি পান সেরা পরিচালকের জাতীয় পুরস্কার।

২০১৪ সালে মিঠুর ‘জোনাকির আলো’ সিনেমাটি দিল্লি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবির পুরস্কার অর্জন করে। দ্বাদশ এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ও লাভ করে এই সিনেমা।

ওয়াহিদুল হকের জন্মদিনে ছায়ানটে উৎসব

ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদুল হকের ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ছায়ানটে চলছে সাংস্কৃতিক উৎসব।

ছায়ানটের সংস্কৃতি-সমন্বিত সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রম নালন্দা বিদ্যালয়ের আয়োজনে এই উৎসব হচ্ছে।

‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া’ শিরোনামে ১৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া উৎসবের চতুর্থ দিন রোববার ছিল  নালন্দার শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘রাই জাগো রাই জাগো’ শীর্ষক সম্মেলক গানে শুরু হয় পরিবেশনা। এরপর একটি বৃন্দ ছড়া পরিবেশনার পরে নালন্দার শিক্ষার্থীরা পরিবেশনা করেন ‘অলস হইও না ভাই’ শিরোনামের দলীয় গান। আবৃত্তি পরিবেশনা পর্বে  তারা পরিবেশন করেন ‘ছন্দ যুদ্ধ’।

পরে তারা পরিবেশন করেন ‘জং আদা নো আবিরাং’ শীর্ষক আদিবাসী নৃত্য। ছিল পুতুল নাটিকা ‘পুতুল বিয়ে’র পরিবেশনা।

নালন্দার শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন গীতি আলেখ্য ‘ইতিহাস কথা কও’।

চলমান নানা সঙ্কট নিয়ে নানা শঙ্কার কথা, আর্তির কথাও তারা তুলে ধরেন গানে গানে। তারা পরিবেশন করেন ‘হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী’ ও ‘আপন কাজে অচল হলে’ শীর্ষক দুটি গান।

শেষে ছিল নাটক ‘তোতা কাহিনি’র পরিবেশনা।