‘কবিতাবাংলা’র আয়োজনে রোববার রাতে মালিবাগ থেকে শুরু হয় ‘কবিতার শান্তিযাত্রা’, এর নেতৃত্বে রয়েছেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
তিনি জানান, কক্সবাজারে তিন দিনের ‘দরিয়ানগর কবিতা মেলা’র জন্য তাদের এই যাত্রা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার শহীদ মিনারে শুরু হবে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তি বার্তা পাঠ করবেন কবি নূরুল হুদা। সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হবে কবিতা পাঠ।
তারপর সমুদ্র তীরে বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে ঘুরে মানবিকতার কবিতা শোনাবেন কবিরা। সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ ঘুরে দেখবেন তারা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন তারা।
বিকালের পর্বটি হবে কক্সবাজার কালচারাল সেন্টারে। সেখানে কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, গান ও নাটিকা প্রদর্শন হবে।
মঙ্গলবারের আয়োজনটি হেবে বায়তুস শরাফ মিলনায়তনে। সকাল ৯টা থেকে চলবে কবিতা পাঠ। তারপর হবে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান।
বিকালের পর্বে বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষে কবিতা চত্বরে কবিতা পাঠের আসর বসবে। অনুষ্ঠান শেষ হবে শান্তিবার্তা পাঠের মাধ্যমে।
কবিদের যাত্রার আগে রোববার সন্ধ্যায় মালিবাগে কারিতাস অডিটোরিয়ামে কবিরা একত্রিত হন। সেখানে কবিতাবাংলার নতুন সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি আসাদ মান্নান, সভাপতিত্ব করেন নূরুল হুদা। উপস্থিত ছিলেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, কবি ঝর্ণা রহমান, ফরিদ আহমেদ দুলাল, ভারতের শাকিল আহমেদ ও নেপালের কবি কিরণ ভট্ট।
অনু্ষ্ঠানে উৎসবের ঘোষণা পাঠ করেন কবি ইসহাক খান।
তিনি বলেন, “আমরা বেদনার সঙ্গে লক্ষ করছি, ধর্মে-ধর্মে ভেদাভেদ। আমরা দেখছি পৃথিবীজুড়ে অমানবিক রক্তপাত, খুনে রাঙা হচ্ছে জনপদ।
“এসব ঘটনা আমাদের সৃষ্টিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করে। আমরা এই রক্তপাতকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা অপশক্তির বিনাশ চাই, সৃষ্টিশীলতার বিকাশ চাই।”
এবারের কবিতা উৎসবে ভারত থেকে কবি মৃণাল বসু চৌধুরী ও মানসী কীর্তনীয়া এবং নেপালের কবি শুভাস সিংহ পারাজুলিও’র আসার কথা বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।