শুক্রবার হামলার পর কাউকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়নি। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে লাশ আসার পর বিষয়টি প্রকাশ পায়।
র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে আশকোনা এলাকা থেকেই ওই যুবককে সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
“গ্রেপ্তারের পরপরই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।”
র্যাব ওই ব্যক্তিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পরই সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এরপর লাশ ওই হাসপাতালেই ছিল। প্রায় ২২ ঘণ্টা পর শনিবার বিকালে তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
ঢাকা মেডিকেলে সন্ধ্যার আগেই লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। এখন তা মর্গে মরচুয়ারিতে রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে।”
মৃত ব্যক্তির নাম আবু হানিফ মৃধা (৩২) এবং তার বাড়ি বরগুনার আমড়াগাছিয়া বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
র্যাব মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ বলেন, “আবু হানিফের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার পরিচয় পাওয়ার চেষ্টা চলছে।”
সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের মধ্যে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে আশকোনায় নির্মাণাধীন র্যাব সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল।
বিস্ফোরণে হামলাকারী নিহত হন বলে র্যাব জানায়। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ওই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে, যাতে সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
ওই মামলায় আর কাউকে গ্রেপ্তারের কোনো খবর র্যাবের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে আশকোনায় হামলার পর শনিবার ভোরে খিলগাঁওয়ে র্যাবের একটি তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে মারা যান একজন। তার দেহেও বিস্ফোরক বাঁধা ছিল জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তারা সন্দেহে করছেন, এই যুবকও আত্মঘাতী হামলাকারী।